শীতকাল এলে ঠাণ্ডা আবহাওয়া শুধু হাড় কাঁপানো নয়, স্বাস্থ্যের ওপরও নানা প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এই সময়টি হতে পারে ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকেই মনে করেন, শীতকালে রক্তচাপ বেড়ে যায় এটি কি আসলেই সত্য?
অনেকেই বিশ্বাস করেন যে শীতকালে রক্তচাপ বেড়ে যায়। আবার অনেকে এটিকে কেবল ভুল ধারণা বলে মনে করেন। অনেকেই ঠাণ্ডা ও রক্তচাপের মধ্যে সম্পর্ক বোঝেন না। এখন প্রশ্ন হলো ঠাণ্ডা কি আসলেই রক্তচাপকে প্রভাবিত করে? যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে কিভাবে এটি এড়ানো যায়? চলুন, জেনে নেওয়া যাক
কার্ডিওলজিস্টদের মতে, ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে উষ্ণ রাখার জন্য আমাদের রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়।
রক্ত পাম্প করার জন্য আরো বেশি প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয়, যার ফলে চাপ বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই শীতকালে সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক উভয় রক্তচাপের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
সুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই প্রভাব উল্লেখযোগ্য নয়। তবে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের রোগীদের ক্ষেত্রে এটি আরো স্পষ্ট।
এই ধরনের ব্যক্তিদের শীতকালে স্বাস্থ্যের অবনতি এড়াতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা করেছেন, ঠাণ্ডা ঋতুতে ৬০ বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তিরা রক্তচাপের সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে রক্তনালির স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায়, যার ফলে ঠাণ্ডার প্রভাব সহ্য করার ক্ষমতা তাদের কম হয়ে যায়। তা ছাড়া শীতকালে মানুষের শারীরিক কার্যকলাপ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়, যা রক্তচাপের ওপরও প্রভাব ফেলে।
লবণ ও চর্বিযুক্ত খাবারও রক্তচাপকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
শীতকাল মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য চ্যালেঞ্জিং এবং বর্ধিত চাপ রক্তচাপের সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই, এই ঋতুতে চাপ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শীতকালে কিভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবেন
বিশেষজ্ঞরা বলেন, হৃদরোগ ও রক্তচাপের রোগীদের শীতকালে নিয়মিত তাদের রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সকাল ও সন্ধ্যায় ঠাণ্ডা থাকে, তাই এই সময়গুলোতে বাইরে বের হওয়া এড়িয়ে চলুন। শরীর গরম রাখার জন্য প্রচুর পশমি পোশাক পরুন।
হালকা ব্যায়াম, সুষম খাদ্য ও পর্যাপ্ত ঘুম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। অতিরিক্ত চা, কফি ও লবণাক্ত খাবার এড়িয়ে চলাও গুরুত্বপূর্ণ। হালকা গরম পানি পান, রোদ পোহানো এবং মানসিক চাপ কমানোর মতো কাজকর্মও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
এআই পদ্ধতির চিকিৎসা সেবা মিলবে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে
ডেঙ্গু আক্রান্তে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৩৯