এই গরমে  এক গ্লাস ‘আইস টি’ শরীরকে ভেতর থেকে করে সতেজ

এই গরমে ঠান্ডা এক গ্লাস আইস টি পিপাসা মেটাবে, শরীরকে ভেতর থেকে করে তুলবে সতেজ। শুধু যে খেতে সুস্বাদু, তা নয়। আইস টি ত্বকসহ শরীরের আরও অনেক ক্ষেত্রে দারুণ উপকারী। চা বানিয়ে ঠান্ডা করে বরফ যোগ করলেই হয়ে যায় আইস টি।

সাধারণ দুধ-চা ছাড়াও তুলসী, পুদিনা ও বিভিন্ন হারবাল চা অথবা গ্রিন–টি দিয়ে বানিয়ে নেওয়া যায় আইস টি। অনেকে আইস টিতে মেশান লেবু, পুদিনাপাতা অথবা নানা ফলের ফ্লেভার। কেউ মেশান চিনি, কেউ মধু আবার কেউ কেউ আইস টি খান কোনো মিষ্টি উপাদান ছাড়াই।

আইস টি কতটা স্বাস্থ্যকর
‎আইস টির স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে কথা হচ্ছিল বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রথমত ঠান্ডা কিছু খেলে আমাদের শান্তি লাগে। আইস টিও তার ব্যতিক্রম নয়। পাশাপাশি এতে আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল, যা আমাদের মেটাবলিজমে সাহায্য করে। তবে হারবাল বা গ্রিন টি দিয়ে আইস টি বানাতে চাইলে ঠান্ডা বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে তৈরি করাই ভালো, নাহলে এতে থাকা ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’

‎রূপবিশারদ ও রন্ধনশিল্পী রহিমা সুলতানা রিতা বলেন, ‘আইস টিতে থাকে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে ও কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে।’

আইস টির উপকারিতা

‎১. আইস টিতে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে কোষকে সতেজ রাখে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ কমায়।

‎২. গরমে পানিশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে।

‎৩. নিয়মিত খেলে চুল ও ত্বকে উজ্জ্বলতা আসে।

‎৪. গ্রিন–টি দিয়ে তৈরি আইস টিতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড হাড় ভালো রাখে।

কীভাবে বানাবেন
সাধারণ আইস টি: ১ কাপ গরম পানিতে ১ চা–চামচ চা–পাতা দিয়ে ৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা করুন। ছেঁকে নিয়ে বরফ দিয়ে পরিবেশন করুন।

‎মিল্ক আইস টি: প্রথমে দুধ দিয়ে সাধারণভাবে দুধ–চা তৈরি করুন, ঠান্ডা করে গ্লাসে বরফসহ ঢেলে পরিবেশন করুন।

‎হারবাল আইস টি বা গ্রিন টি দিয়ে তৈরি আইস টি: স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি অথবা ঠান্ডা পানি দিয়ে হারবাল চা তৈরি করুন। চায়ের সঙ্গে বরফ মিশিয়ে পরিবেশন করুন। গ্রিন টি দিয়ে আইস টি বানানোর নিয়মটাও একই।

কখন খাবেন
‎‎আইস টি খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো দুপুর বা বিকেল। রোদের তাপে ক্লান্ত লাগলে এক কাপ আইস টি মুহূর্তেই আপনাকে চাঙা করে তুলবে। তবে খালি পেটে আইস টি খাওয়া উচিত নয়। খাওয়ার আধঘণ্টা পর খাওয়া ভালো। রাতে আইস টি খাওয়া উচিত নয়। আইস টি শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দিতে পারে, ফলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।‎