টিকাদান কার্যক্রমে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। গত ২০ বছরে প্রায় ৫ কোটি শিশুকে টিকা দেওয়ার ফলে ৫ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুহার ৮১.৫ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন। এই কর্মসূচি শুধু ২০২৫ সালেই প্রায় ৯৪ হাজার শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে টিকা কার্যক্রমের সাফল্য, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক প্রফেসর মো. রাফিকুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজামুদ্দিন আহমেদ, ইউনিসেফের প্রতিনিধি ফারহানা রহমান এবং রাড্ডার নির্বাহী পরিচালক নাসরিন সুলতানা।
বক্তারা বলেন, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে টিকাদানের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এর ফলে মা ও শিশু মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ঘটেছে।
তবে এই সফলতার মাঝেও টিকাদান প্রকল্পে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বলে জানান বক্তারা-
- বরাদ্দকৃত জনবলের প্রায় ৪০ শতাংশ পদ এখনো শূন্য
- ৪৫ জেলায় এখনো টিকাদান কর্মী নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি
- জেলা পর্যায়ের কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ানের ৫৩ শতাংশ পদ শূন্য
- বাজেট বরাদ্দে দেরি হচ্ছে
- ৫ম এইচপিএনএসপি বাতিল করে নতুন উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করা হলেও তা এখনো অনুমোদিত হয়নি
অনুষ্ঠানটি ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের যৌথ অ্যাডভোকেসি প্রোজেক্টের আওতায় আয়োজিত হয়। সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (EPI) সহায়তায় দেশের বিভিন্ন জেলার টিকাদান কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা, প্রতিবন্ধকতা ও করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়।
বক্তারা বলেন, এই সাফল্য ধরে রাখতে হলে টিকাদান কর্মসূচির কাঠামোগত ঘাটতি দূর করতে হবে এবং বাজেট বরাদ্দসহ প্রশাসনিক দিকগুলোতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।