আপনি কি প্রায়ই ক্লান্ত বোধ করছেন, হজমে সমস্যা, ত্বক ফ্যাকাসে হওয়া বা কমতে থাকা ইমিউনিটি (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) এসব সমস্যার পেছনে থাকতে পারে পেটের ভেতরের স্বাস্থ্য, বা ‘গাট হেলথ’ সমস্যা। তবে সমাধান খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন নয়। সেই সমাধান হতে পারে বিট কেভাস, একটি প্রাকৃতিক, ফারমেন্টেড ও প্রোবায়োটিক পানীয়।
Beet kvass3
বিট কেভাস কী
কেভাস হলো এক ধরনের প্রোবায়োটিক ড্রিংক, যা ফারমেন্ট করা বিটরুট দিয়ে তৈরি হয়। শুধুমাত্র বিটরুট, পানি এবং সামান্য লবণ ব্যবহার করেই এটি তৈরি করা যায়। কয়েক দিন রেখে দিলে এটি নিজে থেকেই ফারমেন্ট হয়ে যায়। পূর্ব ইউরোপে জন্ম নেওয়া এই পানীয় আজ ইউরোপ ও আমেরিকায় নিয়মিত পান করা হয়- শরীরের স্বাস্থ্য, ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং গাট হেলথ ঠিক রাখতে।
Beet kvass5
কেন খাবেন বিট কেভাস
- গাট হেলথ ঠিক রাখে: প্রোবায়োটিকস হজমশক্তি বাড়ায় ও পেটের সমস্যাগুলো কমায়।
- ইমিউনিটি বাড়ায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়: শরীরের টক্সিন বের করে ত্বক ঝকঝকে রাখে।
- শক্তি বাড়ায়: নাইট্রেট রক্ত চলাচল বাড়িয়ে এনার্জি যোগায়।
- হার্টের জন্য ভালো: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ও হার্টের কার্যকারিতা বাড়ায়।
- অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি: শরীরের প্রদাহ কমাতে কার্যকর।
কীভাবে বানাবেন
Beet kvass2
উপকরণ
- ২-৩টি বিটরুট
- পরিষ্কার কাচের জার
- পানি
- স্বাদমতো লবণ (ইচ্ছা করলে একটু আদা)
Beet kvass
প্রস্তুত প্রণালি
বিটরুট ভালো করে ধুয়ে ছোট টুকরো করে কাচের জারে দিন, পানি এবং সামান্য লবণ/আদা দিন। জার ঢেকে ৩-৪ দিন রুম টেম্পারেচারে রাখুন (রোদে নয়)। ফারমেন্ট হয়ে গেলে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে প্রতিদিন খাবারের আগে এক কাপ পান করুন। এক মাস নিয়মিত খেলে শরীর ও ত্বকে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাবে। কিডনি সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।