চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি বা বিতরণ না করার জন্য ফার্মেসি ও ফার্মাসিস্টদের কড়া নির্দেশনা দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি বা বিতরণ করলে এবং ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্যাদি রেজিস্টারে সংরক্ষণ না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে ফার্মেসির মালিক ও ফার্মাসিস্টদের প্রতি কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেগুলো হলো-
১. ওষুধ ও কসমেটিকস্ আইন, ২০২৩ এর ৪০ (ঘ) ধারা মোতাবেক রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া Over the Counter ওষুধ ছাড়া এন্টিবায়োটিক বা অন্য কোন ওষুধ বিক্রয় বা বিতরণ করা যাবে না।
২. এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্যাদি রেজিস্টারে যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
৩. স্পষ্ট স্বাক্ষর ও তারিখসহ এন্টিবায়োটিক বিক্রয়ের ক্যাশমেমো দিতে হবে।
৪. রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র মোতাবেক রোগী সাধারণ এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধের ফুল কোর্স যাতে গ্রহণ করে সে বিষয়ে পরামর্শ দিতে হবে।
৫. এন্টিবায়োটিকসহ সকল ওষুধ নির্ধারিত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে।
৬. রেড লেবেল সম্বলিত মোড়কে উপস্থাপন ছাড়া এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় হতে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
জনসাধারণের প্রতিও কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-
১. রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক ক্রয়, সেবন বা ব্যবহার হতে বিরত থাকুন।
২. মোড়কে উল্লেখিত মেয়াদ দেখে ওষুধ ক্রয় করুন এবং বিক্রেতার স্পষ্ট স্বাক্ষর ও তারিখসহ এন্টিবায়োটিক ক্রয়ের ক্যাশমেমো সংগ্রহ করুন।
৩. রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী পূর্ণ কোর্স এন্টিবায়োটিক ব্যবহার না করলে জীবানু এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
৪. সুস্থতা অনুভব করলেও চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র মোতাবেক এন্টিবায়োটিক-এর ফুল কোর্স সম্পন্ন করুন।
৫. মেয়াদোত্তীর্ণ, নষ্ট হওয়া এন্টিবায়োটিক মাটি, পানি বা ময়লা আবর্জনার সঙ্গে না ফেলে আপনার নিকটস্থ ফার্মেসিতে ফেরত দিন।