কোন কিশমিশ বেশি উপকারী

কিশমিশ আমরা সবাই কমবেশি পছন্দ করি। বিশেষ করে গৃহিণীদের বেশ কদর রয়েছে কিশমিশে। রান্নাঘরে কিশমিশ মানেই পায়েস, সুজি ও পোলাওয়ের সঙ্গী। এখন প্রশ্ন উঠছে- আপনি যদি প্রায়শই কিশমিশ খেয়ে থাকেন, তবে তা নতুন করে ভাবতে হবে। কারণ কিশমিশ সোনালি না কি কালো- কোনটি উপকারী আর কোনটি অপকারী তা জেনে খাওয়া উচিত। 

এখন স্বাস্থ্য সচেতনদের ভিড়ে কিশমিশ ভেজানো পানি পান করা থেকে খালি পেটে তা চিবিয়ে খাওয়ার চল শুরু হয়েছে। তারপর সোনালি কিশমিশকে টক্কর দিতে কালো কিশমিশের প্রবেশ ঘটেছে। মিষ্টি পদ বানানোর জন্য দুটিই একরকম কাজ করবে ঠিক, কিন্তু তাদের ধরন ভিন্ন। তাই জানতে হবে, আপনার জন্য কোনটি উপকারী- সোনালি না কি কালো কিশমিশ।

এ বিষয়ে মুম্বাইয়ের পুষ্টিবিদ শ্বেতা জে পঞ্চাল সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দুই ধরনের কিশমিশ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কিশমিশ উপকারী- কালো না কি সোনালি?

Black Kismis

কালো কিশমিশ

প্রাকৃতিকভাবে কালো কিশমিশ রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হয়। এতে কোনো রাসায়নিক দ্রব্য যোগ করা হয় না। যাদের পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যা রয়েছে, যারা প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোমে ভোগেন, যাদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম; তাদের জন্য কালো কিশমিশ ভীষণ উপকারী।

  • কালো কিশমিশে রয়েছে আয়রন ও ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, যা রক্তাল্পতা কমাতে এবং শরীরের শক্তি বাড়াতে কাজে লাগে।
  • কালো কিশমিশে আছে পলিফেনল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা প্রদাহ কমিয়ে আপনার শরীরকে আরও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
  • কালো কিশমিশে প্রি-বায়োটিক ফাইবার রয়েছে, যা অন্ত্রের ভালো ব্যাক্টেরিয়াকে পুষ্টি প্রদান করে। ফলে হজমক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • আর কালো কিশমিশ খেলে ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কারণ কালো কিশমিশ  ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্য বজায় রাখে।
  • Golden Kismis

সোনালি কিশমিশ

সোনালি কিশমিশ দেখতে সুন্দর। তবে এই রং প্রাকৃতিক নয়। মেয়াদ ও সৌন্দর্যবৃদ্ধি করতে এগুলোতে সালফার ডাই-অক্সাইড নামক এক ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই রাসায়নিক হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যারা অ্যাজমা বা পেটসংক্রান্ত রোগে ভুগে থাকেন, তাদের শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। 

তবে সোনালি কিশমিশ খেলে শরীরে শক্তিবৃদ্ধি পায়। আর এটি পটাশিয়ামে পূর্ণ। কিন্তু এতে যে সালফার দেওয়া হয়, তা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য বড় ক্ষতিকারক, যা থেকে পেটফাঁপার সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে নিয়মিত সোনালি রঙের কিশমিশ খেলে লিভারের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি হরমোনের ভারসাম্যেও বিঘ্ন ঘটায়।