নিজের বাড়ি বা বাসস্থান যাই বলি সেটা সবার কাছেই প্রিয়। দিনশেষে ক্লান্ত শরীরে যে জায়গায় ফিরে আসবেন সে পরিবেশটি পরিচ্ছন্ন, গোছানো থাকলে দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি ক্লান্তির রেশ নিমিষেই কেটে যায়। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও বাড়ির পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি জরুরি। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ মানেই জীবাণুদের আস্তানা। বাড়িঘর জীবাণুমুক্ত রাখতে চাইলে নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। চলুন জেনে নেয়া যাক বাড়ি পরিষ্কার রাখার সহজ কিছু উপায়-
* অনেকের বাড়িতেই মেঝেতে কার্পেট বিছানো থাকে। কার্পেটে ময়লা আর ধুলো সব থেকে বেশি জমে। ঝাঁটা দিয়ে কার্পেট পরিস্কার করতে হলে মাস্ক পরে নিবেন যেন নাকে মুখে ধুলো ছিটে অ্যালার্জি না হয়। সপ্তাহে একবার অন্তত ভ্যক্যুয়াম ক্লিনার দিয়ে কার্পেট পরিষ্কার করতে পারলে ভালো।
* বাড়িতে এরকম অনেক জায়গা থাকে, যেখানে সহজে হাত পৌঁছায়না। যেমন ধরুন- খাটের তলায়, সোফার পেছনে কিম্বা ইলেকট্রনিক জিনিসের ভেতরে। টিভি, ক্যাবিনেট, এসব জায়গা নিয়মিত ভ্যক্যুয়াম ক্লিনার দিয়ে বা লম্বা হাতলযুক্ত মপ দিয়ে পরিষ্কার করুন।
* বাড়ির অন্যান্য জায়গার তুলনায় সিলিং ফ্যান কম পরিস্কার করা হয়। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ময়লা, ধুলো এবং ঝুল কিন্তু ওখানেই জমে। মাসে অন্তত দু’বার ভেজা কাপড় দিয়ে ফ্যান পরিস্কার করুন যাতে ধুলো না জমে।
* বিছানার গদির নিচে, বালিশের ভেতরে, পাপোষের নিচে, জানালার খাঁজে, আলমারির ভেতরে- এইসব জায়গাগুলোতে ভ্যক্যুয়াম ক্লিনারের বিভিন্ন পার্টস ব্যবহার করে বা নানা আকৃতির ব্রাশ ব্যবহার করে জায়গাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
* বাড়ির সুইচ পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে পেপার টাওয়েলে ক্লিনার স্প্রে করুন। এবার সুইচ ও বোর্ড ঘষে নিন। প্রয়োজনে দু’বার করে করুন। চটচটে ভাব ও হাতের দাগ থাকলে উঠে যাবে।
* শিশুর সফট টয় সব বাড়িতেই থাকে। দু-তিন মাস পরপর এগুলো পরিষ্কার করা উচিত। হালকা ডিটারজেন্টে এই খেলনাগুলো ভিজিয়ে রাখুন। এবার ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যেসব সফট টয় পানিতে পরিষ্কার করা যাবে না, সেগুলো বড় ব্যাগে ভরে, খানিকটা বেকিং সোডা দিন। এবার ব্যাগটা ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঝেড়ে পরিষ্কার করুন।
* ঘরের কর্নার পরিষ্কার করার জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনারই ভালো। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার না থাকলে একটি পাত্রে হালকা ডিটারজেন্ট এবং পানি মিশিয়ে মিশিয়ে লম্বা হ্যান্ডেলযুক্ত মব দিয়ে খাটের তলা বা সোফার পেছন মুছে ফেলুন।
* আয়নায় দাগ তুলতে প্রথমে স্প্রে বোতলে হালকা গরম পানি এবং কয়েক ফোঁটা লিকুইড সাবান দিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। এবার আয়নায় এই মিশ্রণ স্প্রে করুন। একটি পরিষ্কার শুকনো সুতির কাপড় বা পেপার টাওয়েল দিয়ে মুছে নিন।
* টিউবলাইটে দীর্ঘদিন ধুলো জমতে থাকলে আলোর উজ্জ্বলতাও কমে আসে। টিউবলাইট পরিষ্কার করার জন্য এক মগ পানিতে খানিকটা লিকুইড সাবান মেশান। নরম কাপড় পানিতে ভিজিয়ে ভালো করে পানি নিংড়ে টিউবলাইট মুছে ফেলুন। ময়লা বেশি থাকলে দু’বার করে মুছে নিন। এবার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন, যাতে একটুও পানি না থাকে।