এই শীতে আলমারি থেকে বেরিয়ে এসেছে ভারী জ্যাকেট, কোট, সোয়েটার আর শালের মতো প্রিয় পোশাকগুলো। টানা কয়েক মাস ব্যবহার হয় এসব পোশাক। তবে এই পোশাকগুলো কতদিন পরপর ধোয়া উচিত, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতের ভারী পোশাকগুলো প্রতিদিন ধোয়ার প্রয়োজন নেই, বরং খুব বেশি ধুলে এগুলোর স্থায়িত্ব কমে যেতে পারে। সাধারণত ভারী জ্যাকেট বা কোট যদি সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে না পরা হয়, তবে পুরো শীত মৌসুমে এক থেকে দুইবার ধোয়া বা পরিষ্কার করাই যথেষ্ট।
যদিওবা ব্যবহারের ধরন ও কাপড়ের উপাদানের ওপর ভিত্তি করে এই নিয়ম ভিন্ন হতে পারে।
যেমন উলের কোটগুলো ঘরে না ধুয়ে ড্রাই ক্লিন করানোই সবচেয়ে নিরাপদ, যা শীতের মাঝামাঝি একবার এবং শীত শেষে একবার করলেই চলে। অন্যদিকে সিনথেটিক ফিল জ্যাকেট বা ফ্লিস জ্যাকেট যেহেতু শরীরের কাছাকাছি পরা হয়, তাই এগুলো ছয় থেকে সাতবার ব্যবহারের পর ধুয়ে নেওয়া ভালো।

লেদারের পোশাকের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন; এগুলো ঘরে না ধুয়ে বিশেষ ক্লিনার বা পেশাদার সেবার মাধ্যমে পরিষ্কার রাখা উচিত। এছাড়া পোশাকের কোনো অংশে দাগ পড়লে পুরোটা না ধুয়ে দ্রুত স্পট ক্লিনিং করা বুদ্ধিমানের কাজ। এতে কাপড়ের মান অটুট থাকে এবং বারবার ধোয়ার ধকল সইতে হয় না।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শীত শেষ হওয়ার পর পোশাকগুলো তুলে রাখা। কোনোভাবেই অপরিষ্কার বা ঘামযুক্ত অবস্থায় শীতের পোশাক আলমারিতে রাখা উচিত নয়, কারণ এতে স্থায়ী দাগ বা পোকার উপদ্রব হতে পারে।
তাই ধুয়ে ও ভালোভাবে শুকিয়ে সংরক্ষণ করলে পরের বছরও প্রিয় পোশাকটি নতুনের মতোই ব্যবহার করা সম্ভব। মূলত কাপড়ের ধরন বুঝে পরিমিত যত্নই পারে দীর্ঘ সময় ধরে আপনার শীতের পোশাকের উজ্জ্বলতা ও গুণমান ধরে রাখতে।
