পুরো এক মাস রমজানের পর আসে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল ফিতর। ঈদের দিন মূলত আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার দিন। এই আনন্দকে দ্বিগুণ করার জন্য ঘর-বাড়িতে অন্যরকম আবহ না আনতে পারলে ঠিক আনন্দটা পূর্ণতা পায় না। শেষ বেলায় এসে কীভাবে বাড়িটাকে ঈদের সাজে সাজাবেন রইলো তারই কিছু কার্যকরী টিপস।
বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করা: রমজানে রোজা রাখার ফলে আপনার শরীরে স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে। কিন্তু ঈদ যে দরজায় কড়া নাড়ছে। তাই ইফতারের পর ঘর গুছানো এবং বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করা রোজাদারদের জন্য একটু কঠিনও হয়ে পড়ে বটে। তাছাড়া ইফতারের পর সময়ও খুব কম পাওয়া যায়। ঘর গুছানো এবং বাড়ির অন্যান্য কাজ সম্পূর্ণ করতে আপনি চাইলে কাজগুলো ভাগ করে নিতে পারেন। একবারে সবগুলো কাজ শেষ না করে কাজগুলো কয়েকটি দিনে সম্পূর্ণ করুন। প্রয়োজনে বাড়ির সবাইকে কাজ ভাগাভাগি করে দিন এবং সবার সহায়তা নিন।
বাড়িতে ঈদের আমেজ তৈরি করুন: ঈদ এবং ঈদ পরবর্তী দিনগুলোতে বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজন বাড়িতে বেড়াতে আসে। তাই বাড়িতে ঈদের আমেজ আনতে আপনি আপনার ঘরটাকে অন্যান্য দিনের তুলনায় ভিন্নভাবে সাজিয়ে নিন। বেড শিট, সোফা কাভারগুলো পরিবর্তন করুন। পর্দাগুলো পরিষ্কার করে নিন। চাইলে বেড শিটের সঙ্গে ম্যাচিং করে পর্দা লাগিয়ে নিন। তাছাড়া প্রায় প্রতিটি বাড়িতে এমন একটি অবহেলিত স্থান থাকে, যেখানে কম পরিষ্কার করার কারণে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে ময়লা এবং জীবাণু আশ্রয় নেয়। তাই সিলিং ফ্যান, ওয়াশ রুম, রান্নাঘর, বসার ঘর এবং বাড়ির অন্যান্য জায়গা বা ঘরগুলোর কর্ণারগুলো পরিষ্কার করুন। সুবিধার্থে ঘর পরিষ্কার করার সরঞ্জাম কিনে আনুন। ঘর পরিষ্কার করার পর বেশি আলো দেয় এমন বাতি লাগান।
আউটডোরে নজর দিন: বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করার পাশাপাশি আউটডোরেও নজর দিন। আঙিনায় সবুজ গাছের যত্ন নিন। প্রয়োজনে কাটাই ছাটাই করুন। সতেজ দেখাতে পানি দিন। ফুলের টবেও নিন বিশেষ যত্ন। কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট ঘরের বিভিন্ন জায়গায় রাখুন। তাজা ফুল ঈদের আগের রাতেকিনে পুলদানিতে সাজিয়ে ফেলুন।
বাড়ির অতিরিক্ত ঘরগুলো ব্যবহার করুন: অনেক সময় দেখা যায়, বাড়ির অতিরিক্ত ঘরগুলো আমাদের তেমন ব্যবহার করা হয় না। তাই ঈদে অতিথি আসা উপলক্ষ্যে আপনার বাড়ির না যাওয়া ঘরগুলোতে তাদের বসার জায়গা করে দিতে পারেন। তাই আগে থেকেই সেখানে সোফা, চেয়ার, কম বাজেট-বান্ধব আসবাবপত্র দিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারেন।
বাড়িতে স্বস্তি ফিরিয়ে আনুন: কোনোভাবেই প্রয়োজন পড়ে না, এমন আসবাবপত্র স্টোর-হাউসে বা দূরে সরিয়ে রাখুন। আপনার ঘরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে বাধা দেয় এমন অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র বা একটু ভাঙচুর হয়ে আছে, ব্যবহার করা হচ্ছে না এমন আসবাবপত্র সেল করে দিতে পারেন।
আপনার ঘরকে করুন চাইল্ড-প্রুফ: ঈদের দিনে বড়দের তুলানায় শিশুরা বেড়াতে একটু বেশি আগ্রহী থাকে। তাই আপনার ঘরটিকে তাদের উপযুক্ত করে তুলুন। অতিথি হয়ে তাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখুন।