উইপোকা প্রতিরোধের ঘরোয়া উপায়

বর্ষাকালের শুরুতে অনেক ঘরেই এক অদৃশ্য শত্রুর আক্রমণ দেখো যায়। উইপোকা নামের ছোট আকৃতির কীট দেখতে নিরীহ হলেও আসবাবপত্র, কাগজপত্র এমনকি দেয়ালের ভেতরের কাঠামোও ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। সমস্যার ভয়াবহতা বোঝার আগেই অনেক সময় মূল্যবান আসবাবপত্র একেবারে অকেজো হয়ে পড়ে।

বাজারে নানা রাসায়নিক উপাদান থাকলেও এসব ব্যবহারে রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশগত বিপদ। তাই ঘরোয়া উপায়েই উইপোকা প্রতিরোধ সম্ভব-কম খরচে, নিরাপদে।

জেনে নিন উইপোকা তাড়ানোর কার্যকর ঘরোয়া উপায়-

নিম তেল

Neem oil

নিম তেলের তীব্র গন্ধ ও রাসায়নিক উপাদান উইপোকাকে তাড়াতে কার্যকর। স্প্রে বোতলে ভরে আক্রান্ত জায়গায় নিয়মিত ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে উইপোকা নির্মূল হয়।

ফিটকিরির পানি

ফিটকিরি

আধা লিটার পানিতে ফিটকিরির গুঁড়া মিশিয়ে স্প্রে করুন উইপোকা আক্রান্ত স্থানে। কয়েক দিনের মধ্যেই এর গন্ধে উইপোকা পালাতে বাধ্য হয়।

লবণ

লবণ

আসবাব বা কাঠের ফাঁকে সাধারণ লবণ ছিটিয়ে দিন। চাইলে লবণ পানিও স্প্রে করতে পারেন। এটি উইপোকা মেরে ফেলার পাশাপাশি তাদের চলাচলের পথও রুদ্ধ করে।

করলার রস

Bitter gourd juice

তিক্ত স্বাদের করলা শুধু শরীর নয়, ঘরকেও রক্ষা করতে পারে। করলার রস স্প্রে করলে উইপোকা ধীরে ধীরে সরে যায়।

ভিনেগার ও লেবুর রস

Vinegar

একসাথে মিশিয়ে স্প্রে করলে এটি প্রাকৃতিক পেস্ট কিলার হিসেবে কাজ করে। প্রতি দুই দিন পর পর ব্যবহার করলেই কার্যকর ফল মিলবে।

বোরিক অ্যাসিড

Boric acid

পুরোনো ও কার্যকর একটি উপাদান যা উইপোকার স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত হেনে দ্রুত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। তবে ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি।

বাড়তি করণীয়

  • ঘরে যেন আলো-বাতাস চলাচল ঠিকভাবে হয়, তা নিশ্চিত করুন।
  • পানির লিকেজ বা ফুটো থাকলে দ্রুত মেরামত করুন।
  • কাঠের আসবাবপত্র নিয়মিত রোদে দিন, যাতে তা শুকনো ও জীবাণুমুক্ত থাকে।

বর্ষার মৌসুমে সামান্য উদাসীনতাই ঘরের বড় ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে আগেভাগেই উইপোকা নিয়ন্ত্রণে আনুন এবং ঘরের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।