দীর্ঘদিন আম ভালো রাখার সহজ উপায়

গ্রীষ্মের অন্যতম জনপ্রিয় ও সুস্বাদু ফল আম। রসাল, সুগন্ধি ও পুষ্টিকর এই ফলটি খাওয়ার পাশাপাশি অনেকে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করেও খেতে চান। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে আম দ্রুত পচে যেতে পারে। তাই  আম দীর্ঘদিন ভালো রাখার  সহজ কিছু উপায় তুলে ধরা হলো:

কাঠকয়লা পদ্ধতি
এটি কিছুটা অদ্ভুত শোনাতে পারে, কিন্তু যদি কাঠকয়লার একটি ছোট টুকরোর কাছে আম সংরক্ষণ করেন, তাহলে তা বেশিদিন ভালো থাকবে। কাঠকয়লা প্রাকৃতিক আর্দ্রতা এবং গন্ধ শোষণকারী, কারণ এটি ইথিলিন গ্যাস জমা কমায় যা ফলের পাকাকে ত্বরান্বিত করে। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, একটি কাঠকয়লার টুকরো একটি সিল্কের কাপড়ে মুড়িয়ে আপনার আমের কাছে রাখুন। এগুলো স্পর্শ না করার চেষ্টা করুন। এতে আমের শেলফ লাইফ বাড়বে এবং আপনি যেকোনো সময় তাজা আম খেতে পারবেন।

কাগজ দিয়ে আমের বোঁটা মুড়িয়ে রাখুন
আমকে দীর্ঘক্ষণ সতেজ রাখার একটি সহজ উপায় হলো বোঁটাকে কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে রাখা। এটি রস এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে এবং আমকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এভাবে কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে আম ঠান্ডা, শুষ্ক, ভালোভাবে বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় সংরক্ষণ করুন।

ম্যাঙ্গো আইস কিউব
আম কিউব করে ফ্রিজে রাখতে পারেন। পাকা আমের খোসা ছাড়িয়ে টুকরা করে বিট লবণ, লেবুর রস এবং পুদিনা দিয়ে মিশিয়ে বরফের ট্রেতে ঢেলে দিন। এই কিউবগুলো কোমল পানীয়, ককটেল, লেবুর শরবত, এমনকি আপনার চায়ের স্বাদ যোগ করার জন্যও উপযুক্ত।

ডিহাইড্রেট
সবচেয়ে পাকা আমগুলোকে পাতলা টুকরা করে কেটে নিন এবং কমপক্ষে কয়েক ঘণ্টা ধরে ওভেনে সবচেয়ে কম তাপে বেক করুন। ওভেনে করতে না চাইলে নেটের ওপর বিছিয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে পারেন। প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি, প্রিজারভেটিভ-মুক্ত শুকনো আম অনেকদিন ধরে খেতে পারবেন। একটি এয়ারটাইট বক্সে পাত্রে সংরক্ষণ করবেন। এটি কয়েক মাস ধরে খেতে পারবেন।

পাকা আমের আচার
আপনি কি জানেন যে পাকা আমের আচারও হতে পারে? সেজন্য পাকা আম কেটে একটি জারে চিনি/গুড়ের সিরাপ, লেবুর রস, কয়েকটি এলাচ এবং জাফরান দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এই সিরাপের মিশ্রণটি কেবল প্রিজারভেটিভ হিসেবেই কাজ করে না, বরং সুস্বাদু আচারও তৈরি করে। যদি এটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন, তাহলে এই মিষ্টি আমের আচার তিন সপ্তাহ ধরে খাওয়া যাবে।

অ্যান্টিফাঙ্গাল বা ছাঁচ প্রতিরোধী পদ্ধতি:
আম পচে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ছাঁচ। তাই পাকা আম সামান্য গরম পানিতে কয়েক সেকেন্ড ডুবিয়ে তুলে শুকিয়ে নিলে ছাঁচ পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। চাইলে খাবার নিরাপদ রাখতে ব্যবহৃত ফুডগ্রেড অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডারও ব্যবহার করা যায়।