ঘন ঘন ছুটি নিলে যেসব সমস্যা হতে পারে আপনার

কর্মজীবনে নিয়মিত দায়িত্ব পালন একজন চাকরিজীবীর মৌলিক কর্তব্য। শারীরিক অসুস্থতা, পারিবারিক প্রয়োজন কিংবা ব্যক্তিগত কারণে মাঝে মাঝে ছুটি নেওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তবে কেউ ঘন ঘন ছুটি নিলে সেটি কেবল তার ব্যক্তিগত কর্মজীবনেই নয়, পুরো প্রতিষ্ঠানের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। চাকরিতে ঘন ঘন ছুটি নেওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো জেনে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদনে।

কর্মদক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়

নিয়মিত অনুপস্থিত থাকলে কর্মদক্ষতার মূল্যায়ন করা কঠিন হয়। যার ফলে পদোন্নতি, প্রশংসাপত্র বা বোনাসের ক্ষেত্রে বাদ পড়ার আশঙ্কা থাকে।

job 1

বিশ্বাসযোগ্যতা কমে যায়

ঘন ঘন ছুটি নিলে সহকর্মী ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কর্মীর বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়। অফিস কর্তৃপক্ষ মনে করে, কর্মীটি দায়িত্বশীল নন বা অফিসের প্রতি তার মনোযোগ কম।

সহকর্মীদের ওপর চাপ বাড়ে

কোনো কর্মী বারবার ছুটি নিলে তার কাজ অন্যদের দিয়ে করাতে হয়। এতে সহকর্মীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং দলীয় সহযোগিতায় অসন্তোষ দেখা দেয়।

পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে বা অফিসে বার্ষিক কর্ম-মূল্যায়নে কর্মীর উপস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঘন ঘন ছুটি থাকলে রেটিং কমে যেতে পারে, যা ভবিষ্যতে পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে।

job 3

চাকরিচ্যুতির সম্ভবনা তৈরি হয়

যদি ছুটির কারণগুলো অযৌক্তিক বা বারবার ওয়ার্নিং দেওয়ার পরও সংশোধন না হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে- যেমন শোকজ, বরখাস্ত অথবা চাকরি বাতিল।

পেশাগত ইমেজ নষ্ট হয়

যেকোনো প্রতিষ্ঠানে একটি পেশাদার ইমেজ গড়ে তোলা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ঘন ঘন ছুটি এই ইমেজকে নষ্ট করে দেয়, যা ভবিষ্যতে অন্য কোথাও চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা হতে পারে।

job 2

করণীয়তা

প্রয়োজনে আগেভাগে ছুটি আবেদন করুন

যথাসম্ভব অফিস টাইম মেইনটেইন করুন

বিশ্বাসযোগ্য কারণ ছাড়া ছুটি না নিন

অফিসের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে সচেতন থাকুন

ছুটি নিলে দায়িত্ব যথাযথভাবে হস্তান্তর করুন

চাকরির ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা, দায়িত্ববোধ এবং উপস্থিতি—এই তিনটি বিষয়ই একজন কর্মীর প্রফেশনাল সাফল্যের ভিত্তি। তাই ঘন ঘন ছুটি নেওয়ার আগে ভাবুন, এতে আপনি একদিনের বিশ্রাম পেলেও হয়তো কর্মজীবনে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি।