অফিসের ব্যস্ত জীবনে শরীরচর্চার জন্য সময় বের করাটা অনেকের কাছেই কঠিন মনে হয়। কিন্তু একটু পরিকল্পনা আর সচেতনতা থাকলেই আপনি দৈনন্দিন রুটিনে স্মার্টভাবে ব্যায়াম যোগ করতে পারেন।
এমন কিছু ব্যায়াম যেগুলো ব্যস্ত অফিস লাইফেও অনুসরণ করা সহজ ,নিচে তা দেওয়া হলো।
প্রথমত, আপনি খুব অল্প সময়ের ব্যায়াম বা ‘মাইক্রো-ওয়ার্কআউট’ করতে পারেন। প্রতিদিন ৫ মিনিটের কিছু ব্যায়াম আপনার শরীরকে অনেকটাই সজীব রাখতে পারে। অফিসের বিরতিতে চেয়ারে বসেই লেগ এক্সটেনশন, ডেস্কের পাশে দাঁড়িয়ে ক্যাফ রেইজ বা কয়েকটি স্কোয়াট করলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে এবং ক্লান্তি কমে।
হাঁটাকে আপনার প্রতিদিনের ব্যায়াম হিসেবে ভাবুন। লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার, ফোনে কথা বলার সময় দাঁড়িয়ে হাঁটা কিংবা লাঞ্চের পর হালকা হেঁটে নেওয়া- এসব ছোট ছোট অভ্যাস আপনাকে অনেক বেশি সক্রিয় রাখবে। স্মার্টওয়াচ বা মোবাইল অ্যাপে পদক্ষেপ গোনার সুবিধা থাকলে প্রতিদিন ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ স্টেপ রাখার চেষ্টা করুন।
ডেস্কেই কিছু সহজ ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন কাঁধ ঘোরানো, ঘাড় স্ট্রেচ বা কবজি ঘোরানো। প্রতি ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পরপর চেয়ার থেকে উঠে স্ট্রেচ করলে চোখ ও ঘাড়ের ওপর চাপ কম পড়ে এবং মনোযোগও বাড়ে।
আপনার দৈনন্দিন রুটিনে একটা ছোট্ট ‘একটিভিটি টাইম’ বরাদ্দ রাখুন। অফিসে যাওয়ার আগে, বাসায় ফেরার পরে কিংবা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ১০-৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। যেভাবে মিটিংয়ের সময়সূচি ঠিক করেন, ঠিক সেভাবেই ব্যায়ামের সময়টাও ক্যালেন্ডারে রাখুন।
সবশেষে, শুধু শরীর নয়, মানসিক চাপ কমাতেও হালকা স্ট্রেচিং ও শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যায়াম অনেক উপকারি। অফিসের ব্যস্ততার মাঝে মাত্র ২-৩ মিনিট চোখ বন্ধ করে গভীর শ্বাস নেওয়া, ঘাড় বা পিঠের স্ট্রেচ করা- এগুলো মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে।