কিভাবে নাক ডাকা বন্ধ করবেন

ঘুমের মধ্যে কমবেশি অনেকেই নাক ডাকেন। এই সমস্যার পেছনে লুকিয়ে রয়েছে নানা শারীরিক জটিলতা। তাছাড়া নাক ডাকার শব্দে আশপাশের মানুষের ঘুমেরও ব্যঘাত ঘটে। তাই এ সমস্যার দ্রুত সমাধান করা জরুরি।

নাক ডাকা কমাতে শোয়ার অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে। ঘুমানোর আগে অ্যালকোহল ও সেডেটিভ এড়িয়ে চললে এবং ওজন কমালে নাক ডাকা কমে যেতে পারে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যেভাবে নাক ডাকা বন্ধ করেবেন- 

১. জীবনযাত্রার পরিবর্তন করুন 

ঘুমানোর ভঙ্গি পরিবর্তন

চিত হয়ে না শুয়ে পাশে ফিরে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এতে জিহ্বা এবং গলার নরম টিস্যু নিচে নেমে এসে শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ করতে পারে না।

অ্যালকোহল ও সেডেটিভ পরিহার: ঘুমানোর আগে অ্যালকোহল এবং কিছু ওষুধ (যেমন সেডেটিভ) গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন, কারণ এগুলো গলার পেশী শিথিল করে নাক ডাকার কারণ হতে পারে।

ওজন কমানো

অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার একটি অন্যতম কারণ। ওজন কমালে এই সমস্যাটি কমতে পারে।

নিয়মিত ব্যায়াম

নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করাও নাক ডাকা কমাতে সহায়ক হতে পারে। 

২. ঘরোয়া উপায়সমূহ 

নাক পরিষ্কার রাখা

যদি নাক বন্ধ থাকে, তাহলে তা নাক ডাকা বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি দূর করতে ঘরোয়া পদ্ধতি চেষ্টা করতে পারেন।

গোলমরিচ

হাতের তালুতে সামান্য গোলমরিচের গুঁড়া নিয়ে তাতে সামান্য সরষের তেল মিশিয়ে নাকের কাছে ধরুন। এতে হাঁচি হতে পারে এবং নাক পরিষ্কার হতে পারে।

টমেটো, রসুন ও লেবুর রস

এক কাপ টমেটোর রস, এক টেবিল চামচ রসুন কুচি, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, ঝাল সস এবং এক চিমটি লবণ মিশিয়ে দিনে দুইবার পান করুন। এটি নাক বন্ধভাব দূর করতে সাহায্য করে। 

৩. চিকিৎসকের পরামর্শ

যদি এই পদ্ধতিগুলো কাজ না করে বা আপনার নাক ডাকার সমস্যা গুরুতর হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নাক ডাকার কারণ হতে পারে অ্যালার্জি, সাইনাসের সমস্যা বা নাকের হাড় বাঁকা হয়ে যাওয়া। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসক সঠিক চিকিৎসা দিতে পারেন।

এদিকে বেশির ভাগ মানুষ এই সমস্যাকে প্রথমে পাত্তা দেন না। তবে পরে দেখা যায়, জটিলতা বেড়ে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার দিকে চলে যায়। এই রোগীদের ঘুমের মধ্যে শ্বাস আটকে যায়। তখন হার্ট রেট বেড়ে যেতে পারে। এমনকি ব্লাড প্রেশার অস্বাভাবিক হয়ে যায়। প্রতিদিন এমন হতে থাকলে একটা সময়ে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কাও থাকে রোগীর।

কিছু ক্ষেত্রে নাক বন্ধের জন্য 'জাইলোমেটাজোলিন' জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। যা সরাসরি নাকে স্প্রে বা ড্রপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে এটি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়।