ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

যেসব কারণে বাড়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি

আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৮ এএম

বর্তমান বিশ্বে ক্যান্সার একটি ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির নাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর তথ্যমতে, প্রতি বছর কোটিরও বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে প্রাণ হারান। তবে আশার বিষয় হলো, চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন এনে এই ভয়ঙ্কর রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছু ক্ষতিকর অভ্যাসই অনেক সময় ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। সচেতনতা, সতর্কতা ও জীবনযাপনে ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমেই আমরা এই রোগ থেকে নিজেকে ও প্রিয়জনদের সুরক্ষিত রাখতে পারি।

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যেসব অভ্যাসে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে- 

 ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য সেবন

ধূমপান শুধু ফুসফুসের ক্যান্সারই নয়, বরং মুখ, গলা, কণ্ঠনালী, কিডনি এবং মূত্রথলির ক্যান্সারেরও প্রধান কারণ। এমনকি চুন, জর্দা বা গুল ব্যবহারের মাধ্যমেও মুখ ও গলার ক্যান্সার হতে পারে। তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান কোষের DNA ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।

অতিরিক্ত মদ্যপান

নিয়মিত এবং মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ লিভার, স্তন, খাদ্যনালী ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা জানান, অ্যালকোহল কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায় এবং DNA ক্ষতি করে, যার ফলে ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ে।

অসুস্থ খাদ্যাভ্যাস

ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত মাংস (যেমন: সসেজ, হটডগ), অতিরিক্ত চর্বি, লবণ এবং চিনি গ্রহণ করলে শরীরে বিষক্রিয়া তৈরি হতে পারে, যা বিশেষত কোলন ও পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।  

শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা

নিয়মিত ব্যায়ামের অভাব শরীরে চর্বি জমিয়ে দেয়, যা স্তন, কোলন ও জরায়ুর ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করাই ভালো।

কেমিক্যাল ও বায়ুদূষণের সংস্পর্শ

শিল্পকারখানার ধোঁয়া, গৃহস্থালী কীটনাশক, রং, প্লাস্টিক পোড়ানোর ধোঁয়া কিংবা অ্যাসবেস্টস জাতীয় পদার্থের সংস্পর্শ দীর্ঘমেয়াদে শরীরে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে। এগুলো ফুসফুস, ত্বক এবং লিভারের ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

অতিরিক্ত রোদে থাকা

দীর্ঘক্ষণ সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে থাকা ত্বকের উপর অতিবেগুনি রশ্মি (UV rays)-এর সরাসরি প্রভাব ফেলে, যা স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই সূর্যের তীব্র রশ্মি এড়িয়ে চলা, সানস্ক্রিন ব্যবহার এবং উপযুক্ত পোশাক পরিধান অত্যন্ত জরুরি।

ঘুমের অনিয়ম

ঘুম কম বা অনিয়মিত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। একই সঙ্গে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা স্তন ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ও নিয়মিত ঘুম স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অপরিহার্য অংশ।

LH/SN
আরও পড়ুন