শীতের সময় ঠান্ডা আবহাওয়া, পানিশূন্যতা, গলা ব্যথা ও হজমের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, শীতে প্রতিদিন গরম পানি পান এসব সমস্যার ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সহজলভ্য ও নিরাপদ এই অভ্যাস শীতকালীন স্বাস্থ্যসুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
এদিকে শীতের মৌসুমে গরম পানি পান করা অনেকের অভ্যাস। এটি শুধু আরাম দেয়ই না, বরং শরীরের জন্য বেশ কিছু উপকারিতা নিয়ে আসে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক শীতে গরম পানি পানের যতো উপকারিতা রয়েছে-
হজমে সহায়তা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
শীতে হজম ক্রিয়া কিছুটা মন্থর হয়ে পড়ে। গরম পানি পাকস্থলীর কার্যক্রম সক্রিয় রাখে, খাবার ভাঙতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। নিয়মিত গরম পানি পান করলে হজমতন্ত্র সুস্থ ও স্বচ্ছন্দ থাকে।
সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথায় দ্রুত আরাম
শীতকালীন সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ, গলা ব্যথা- এসবই মৌসুমি রোগের সাধারণ উপসর্গ। গরম পানি গলার প্রদাহ কমিয়ে শ্লেষ্মা নরম করে, ফলে শ্বাস নিতে সহজ হয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, হালকা গরম পানি সর্দি-কাশায় তাৎক্ষণিক আরাম দিতে পারে।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি ও শরীর উষ্ণ রাখা
ঠান্ডা আবহাওয়ায় রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়ে যায়, ফলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে থাকে। গরম পানি রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং ক্লান্তি দূর করে। এতে শীতজনিত ব্যথা ও অবসাদও কমে।
শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সহায়ক
উষ্ণ পানি শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়ায় এবং ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বক সতেজ থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর
সকালে এক গ্লাস গরম পানি পান করলে মেটাবলিজম সক্রিয় হয়, যা অতিরিক্ত ক্যালরি পোড়াতে সহায়তা করে। শীতে যখন শারীরিক পরিশ্রম কমে যায়, তখন ওজন নিয়ন্ত্রণে গরম পানি একটি সহজ সমাধান হিসেবে কাজ করতে পারে।
হাইড্রেশনে সহায়ক
শীতে তৃষ্ণা কম লাগায় অনেকেই দিনে কম পানি পান করেন, যা শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে। গরম পানি সহজে পান করা যায় এবং শরীর দ্রুত শোষণ করে, ফলে হাইড্রেশন বজায় থাকে।
শীতে গরম পানি পান একটি সহজ, সাশ্রয়ী ও কার্যকর স্বাস্থ্যচর্চা। রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে হজম, রক্ত সঞ্চালন এবং সার্বিক সুস্থতায় এটি দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে।