স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের নিয়মিত চর্চায় প্রথম পছন্দ নিয়মিত হাঁটা বা হালকা দৌড়। চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি হলো সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম। তবে ফিটনেসের এই যাত্রা অনেক সময় ব্যথায় থেমে যায় একটি সাধারণ ভুলের কারণে। সেটা হলো ভুল জুতা বা রানিং-সু’র কারণে।
গবেষণা বলছে, সঠিক রানিং-সু পেশি ও হাড়ের ওপর চাপ কমায়, শরীরকে রাখে ছন্দে এবং দীর্ঘদিন সক্রিয় থাকতে সাহায্য করে।
দৌড়ানোর সময় শরীরের পুরো ওজন প্রতি ধাপে পড়ে পায়ের ওপর। এ সময় জুতার সঠিক কুশনিং, ফ্লেক্সিবিলিটি ও সাপোর্ট না থাকলে সেই চাপ সরাসরি পৌঁছে যায় হাড় ও জোড়ায়।
গবেষণায় বলছে, সঠিক রানিং-সু ব্যবহার করলে আঘাতের ঝুঁকি প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে আসে। বিশেষ করে যাদের ওজন বেশি বা যারা নতুন করে দৌড় শুরু করছেন, তাদের জন্য মানানসই জুতা বেছে নেওয়া জরুরি।
হাঁটা কিংবা দৌড়ানোর মতো সহজ ব্যায়ামকে আরামদায়ক ও নিরাপদ করতে সঠিক রানিং-সুয়ের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে আপনার বিশ্বস্ত ঠিকানা হতে পারে রাজধানীর লালমাটিয়ায় অ্যাথলেটিকা শো-রুম। এখানে দৌড়বিদদের জন্য মিলছে বিশ্বমানের রানিং সু।
যে জুতা বা কেডস পায়ে অফিস করেন আপনি যদি সেই জুতা পায়ে ব্যয়ামে নেমে পড়েন তাহলে ভুল করছেন। ব্যয়ামের জন্য হাঁটা কিংবা দৌড়ানোর ক্ষেত্রে দরকার মানসম্পন্ন রানিং-সু। অর্থাৎ পার্টির জুতা দিয়ে যেমন ট্রেকিং সম্ভব নয়, তেমনি সাধারণ হাঁটার জুতা দিয়ে দৌড়ানোও শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
ওয়াকিং আর রানিং সু’য়ের মধ্যে গঠনগত পার্থক্য অনেক। দৌড়ানোর জুতায় থাকে বাড়তি কুশনিং, হিলের উচ্চতা তুলনামূলক বেশি, আর গোড়ালি ও সামনের পাতায় দেওয়া হয় বাড়তি সাপোর্ট। ফলে দীর্ঘক্ষণ দৌড়ানোর পরও পায়ে ব্যথা বা অস্বস্তি হয় না। সেসব মাথায় নিয়েই রানিং-সু বানায় অ্যাথলেতিকো। গ্রাহকের পায়ের মাপ, আর্চ ও গেইট অ্যানালাইসিস করে প্রি-অর্ডারের মাধ্যমে দেওয়া হয় সঠিক জুতা।
বিশ্ব মানের এসব রানিং-সু’র দামটা একটু বেশি। ৭ হাজার থেকে শুরু। তবে আলোচনার কেন্দ্রে এখন ৪০ হাজার টাকার বিশেষ রানিং-সু। আন্তর্জাতিক মানের এই জুতা মূলত দীর্ঘ দূরত্বের রানারদের জন্য। বিশেষ প্রযুক্তির কারণে এতে শক অ্যাবসরভশন অনেক বেশি, দীর্ঘক্ষণ দৌড়ানোর পরও পায়ে চাপ পড়ে না।
গ্রাহকরা বলছেন, নিয়মিত যারা দৌড়ান তাদের জন্য একটু কষ্ট করে হলেও ভালো মানের জুতা কেনা উচিত। কারণ ভুল জুতার কারণে আঘাতের ঝুঁকি যেমন বাড়ে, তেমনি সঠিক জুতা শরীরকে রাখে সুস্থ ও প্রাণবন্ত।