জীবনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে কিছু চ্যালেঞ্জ নিজেকে নিতেই হয়। ছোট ছোট বাধাগুলো যেন কোনোভাবেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে না পারে সেজন্য নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন। সফলতা একদিনেও আসে না। সফল হতে নিজেকেই নিজের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে হবে। মানসিকভাবে নিজেকে শক্তিশালী করতে যে অভ্যাসগুলোতে আপনাকে অভ্যস্ত হতেই হবে, সেগুলো জেনে নিন-
কৃতজ্ঞ হোন: সফল হতে হলে আজই মন থেকে অহংকার ঝেড়ে ফেলুন। কৃতজ্ঞ হোন। এটি মানসিকভাবেও আপনাকে শক্তিশালী করবে। এটি আপনার কাজে ফোকাস হতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
সীমানা নির্ধারণ করুন: মানসিকভাবে নিজেকে শক্তিশালী করতে কেবল নিজের কাজকেই গুরুত্ব দিন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন, এমন পরিস্থিতি থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। নিজের অধিকার আদায়ে যেন কোনো ফাঁক না থাকে, সে ব্যাপারে যথেষ্ট তৎপর থাকুন।
ব্যর্থতা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করবেন না: কোনো কাজে ব্যর্থ হলে দুঃশ্চিন্তা না করে নিজেকে বলেন, ‘ব্যর্থতাই জীবনের শেষ নয়’। একবারে কোনো কাজ না হলে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে নিজেকে নিজেই মোটিভেট করুন। ব্যর্থতা থেকে মূল্যবান শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হোন। ব্যর্থতাকে উন্নতির পথ হিসেবে ব্যবহার করুন।
না বলতে শিখুন: মানসিকভাবে নিজেকে শক্তিশালী করতে ‘না’ বলতে শিখুন। যে কোনো পরিস্থিতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মনে মনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোন।
পরিকল্পনা করুন: যে কোনো কাজে হাত দেওয়ার আগে পরিকল্পনা করুন। কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে ঝুঁকি নিতে অভ্যস্ত হোন। কেননা, মানসিকভাবে শক্তিশালী ব্যক্তিরা ঝুঁকি নিতে ভয় পান না।
একা সময় কাটানোর গুরুত্ব বুঝুন: একাকিত্বে ভয় পাবেন না। মানুষকে জীবনে যেকোন সময়ে যে কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়। বিভ্রান্ত না হয়ে আগামীতে কী করতে চান তা নির্ধারণ করে নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন।
পরিশ্রমী হোন: মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পরিশ্রমী হোন। আর ঠিকমতো পরিশ্রম করার জন্য নিজের সুস্থতায় আপোষ করবেন না। খাওয়া, ঘুম, ব্যায়ামের দিকে সচেষ্ট থাকুন। মানসিক শক্তির অভাব হবে না।