পর্যাপ্ত পানি পান করেন তাও ত্বক শুষ্ক!

ত্বকের সৌন্দর্যের মূল রহস্য হলো ত্বককে হাইড্রেট রাখা। সাধারণত ডিহাইড্রেশনের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। পর্যাপ্ত পানি পানের পরও ত্বক শুষ্ক হলে ধরে নিতে হবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে। অনেকেই সঠিক কারণ না জেনে শুষ্ক ত্বকের প্রতিকার হিসেবে প্রচুর পানি পান করে থাকেন। যেটি বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে। ত্বক শুষ্ক হওয়ার কয়েকটি কারণ জেনে নিন-

Skin-Life 2

আবহাওয়া ত্বক শুষ্ক করে: যতই পানি পান করুন না কেন পরিবেশগত কিছু কারণে ত্বক শুষ্ক হবেই। ঠাণ্ডা আবহাওয়া, শুষ্ক বাতাসের কারণে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। আবার শীতের মৌসুমটাতে অনেকেই গোসলে গরম পানি ব্যবহার করে থাকেন। এতেও ত্বকে মসৃণতা হ্রাস পায় এবং শুষ্কতা দেখা যায়।

ত্বকের যত্নের কিছু পণ্য কারণ হতে পারে: রূপরুটিনের কিছু পণ্য আপনার ত্বককে শুষ্ক করতে পারে। অতিরিক্ত ক্লিনজিং, এক্সফোলিয়েট বা অ্যালকোহল ভিত্তিক টোনারগুলো মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ত্বক শুষ্ক, আঁটসাঁট, এমনকি ত্বকে জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হতে পারে। তাই ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং স্কিনকেয়ার পণ্যগুলো বেছে নিন। অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েট করা থেকে বিরত থাকুন।

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে ত্বক কোমলতা হারায়: অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন যেমন ধূমপান ত্বকে রক্ত প্রবাহ হ্রাস করে।  ফলে ত্বকে শুষ্কতা এবং অকাল বার্ধক্য দেখা যায়। অনুরূপভাবে অতিরিক্ত অ্যালকোহল শরীরকে ডিহাইড্রেট করে। এতে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক তার কোমলতা হারিয়ে ফেলে।

অ্যালার্জিজনিত কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়: একজিমা, সোরিয়াসিস, হাইপোথাইরয়েডিজম এবং ডায়াবেটিসের কারণে ত্বকে চুলকানি, শুষ্কতা এবং প্রদাহ জনিত কিছু রোগ দেখা দেয়। মূর্ত্রবর্ধক, অ্যান্টিহিস্টামাইনস সহ কিছু ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।  

শরীরে পুষ্টির ঘাটতি আছে কি না যাচাই করুন: প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে ত্বকে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। ওমেগা-৩, ফ্যাটি অ্যাসিড পর্যায়ক্রমে  ত্বকের স্বাস্থ্যে উন্নতি এবং ত্বকে হাইড্রেশন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, জিঙ্ক, সেলেনিয়ামের ঘাটতির কারণে ত্বক রুক্ষ হতে পারে।

হরমোনের উঠানামাও দায়ী হতে পারে: হরমোনের পরিবর্তন বিশেষ করে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রার উঠানামার কারণে ত্বকের হাইড্রেশনের মাত্রা কমে যায়। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা হ্রাসের কারণে নারীদের মেনোপজের সময় ত্বক রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। একইভাবে গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের ফলে ত্বকের শুষ্কতা এবং ত্বকের গঠন পরিবর্তন হতে পারে।
কেন ত্বক শুষ্ক হচ্ছে তা আগে বোঝার চেষ্টা করুন।  প্রয়োজনে চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।