ঈদে নিজেকে উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত দেখাতে চান সবাই। নতুন পোশাক পরবেন অথচ যত্নের অভাব ফুটে উঠবে ত্বকে নিশ্চয়ই এমনটা হোক, তা চান না? রমজানের ব্যস্ততায় ত্বকের পরিচর্যা করার মতো কিছু সময় বের করা অনেকটা চ্যালেঞ্জের মতোই। আবার মসৃণ এবং কোমল ত্বক এক বা দুদিনেও পাওয়া যায় না। তবে চাইলে এখনো ঈদে নিখুঁত ত্বকের অধিকারী হতে পারেন। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জলতা ফেরাতে বিশেষজ্ঞগণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। জেনে নিন সেগুলো-
সঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করুন: ঈদের রূপরুটিনে সর্বোপ্রথম যে ধাপটি তা হলো- সঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করা। আপনার মুখের ত্বক থেকে তেল, ময়লা এবং মেকআপ যথাযথভাবে পরিষ্কার না করলে তা ত্বকের ছিদ্রে আটকে যেতে পারে। ফলে ত্বকে ব্রণ বা লাল লাল ফুসফুড়ির মতো সৃষ্টি হয়। তাই ভারী মেকআপ করার আগে মুখের ত্বক যেমন ভালোভাবে পরিষ্কার করা জরুরি। তেমনি মেকআপ উঠানোর সময় আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ত্বক পরিষ্কার করতে একটি আলাদা ক্লিনজার ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে অবশ্যই ত্বকের ধরণ বুঝে ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে।
টোনার ব্যবহার করুন: ঈদের রূপরুটিনে ত্বক পরিষ্কার করার দ্বিতীয় ধাপ হলো টোনার ব্যবহার করা। টোনার আপনার ত্বকের ছিদ্রের গভীরে আটকে থাকা ময়লা বের করে আনে। সিরাম বা ময়েশ্চারাইজারের আগে মুখের ত্বকে নিয়মিত টোনার ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের পিএইচ স্তর উন্নত হয়। সুগন্ধি, অ্যালকোহল মুক্ত এবং গ্লাইকল- ভিত্তিক টোনার মুখের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।
এক্সফোলিয়েট করুন: ঈদ উপলক্ষ্যে রূপরুটিনের তৃতীয় ধাপটি এক্সফোলিয়েট দিয়ে শুরু করুন। এক্সফোলিয়েশন ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। সপ্তাহে একবার বা দুবার এএইচএ বা বিএইচএ কম্পোজিশনসহ একটি সুগন্ধি মুক্ত এক্সফোলিয়েট ব্যবহার করুন।
ত্বক ময়েশ্চারাইজ করুন: ঈদের রূপরুটিনে চতুর্থ ধাপে রয়েছে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা। আপনার মুখের ত্বককে হাইড্রেট রাখতে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড বা সিরামাইড রয়েছে এমন ময়েশ্চারাইজ বেছে নিন। তবে ত্বক শুষ্ক বা কম্বিনেশন হলে তৈলাক্ত ত্বকের তুলনায় একটু বেশি ময়েশ্চারাইজ করা প্রয়োজন।
হাইড্রেট থাকুন: ঈদের রূপরুটিনে পঞ্চম ধাপ হলো পুরো রমজানে নিজেকে হাইড্রেট রাখা। হাইড্রেশনের অভাবে আপনার ত্বক নিস্তেজ, মলিন এবং রুক্ষ দেখায়। তাই প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পানের পরও হাইড্রেট থাকতে প্রচুর শাক-সবজি এবং ফলমূল খান।
রমজানে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: ঈদের রূপরুটিনে ষষ্ঠ ধাপের জন্য রমজান এবং ঈদের সময়টাতে খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন। যেহেতু রমজানে চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট বা ভাজাপোড়া খাবার তুলনামূলকভাবে বেশিই খাওয়া হয়। তাই রমজান, ঈদ এবং ঈদের পরবর্তী দিনগুলোতে মসুর ডাল, প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম, মাছ বা মুরগির মাংস এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান। অতিরিক্ত রাত না জেগে পর্যাপ্ত সময় ঘুমান। এতে ত্বক পরিপুষ্ট থাকবে।