প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অসাধারণ উপকার বয়ে আনতে পারে। বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা বলছে, প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটা দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, মানসিক চাপ এবং হাড়ের সমস্যার ঝুঁকি কমিয়ে আনে। জেনে নিন হাঁটার কিছু বৈজ্ঞানিক উপকারিতা সম্পর্কে।
১. হৃদযন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, নিয়মিত হাঁটা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়।
২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
হাঁটার ফলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, যা রক্তের গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, খাওয়ার পর ১০–১৫ মিনিট হাঁটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী।
৩. হাড় ও জয়েন্ট মজবুত করে
নিয়মিত হাঁটা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং জয়েন্টের নমনীয়তা বজায় রাখে। এর ফলে অস্টিওপোরোসিস ও আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমে।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
প্রতিদিন হাঁটার মাধ্যমে শরীর ক্যালোরি বার্ন করে, যা ওজন কমাতে এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষণায় দেখা গেছে, দ্রুত হাঁটার সময় একজন গড়পড়তা মানুষ প্রতি ৩০ মিনিটে প্রায় ১৫০ ক্যালোরি বার্ন করতে পারেন।
৫. মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা দূর করে
হাঁটার সময় শরীরে এন্ডরফিন নামক ‘হ্যাপি হরমোন’ নিঃসৃত হয়, যা মানসিক চাপ কমায় এবং মন ভালো রাখতে সহায়তা করে। প্রকৃতির মাঝে হাঁটা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি কার্যকর।
৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
নিয়মিত হাঁটা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, যা সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
৭. ঘুমের মান উন্নত করে
দিনের বেলায় হালকা শারীরিক পরিশ্রম যেমন হাঁটা, রাতে ঘুমের মান উন্নত করে। গবেষণা বলছে, নিয়মিত হাঁটেন এমন ব্যক্তিদের অনিদ্রার সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম।
তথ্যসূত্র: আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন, হার্ভারড মেডিক্যাল স্কুল, মায়ো ক্লিনিক ও সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন