ডেঙ্গু: সাবধান হোন শিশুর বেলায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক: একদিকে টানা বৃষ্টি অন্যদিকে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুর দাপট। এবার বর্ষায় অনেকটা নাজেহাল মানুষ। মশারি, কয়েল, মশা মারার স্প্রে শত চেষ্টা করেও ঠেকানো যাচ্ছে না ডেঙ্গুর সংক্রমণ। বৃদ্ধ থেকে শিশু ডেঙ্গু ছাড়ছে না কাউকেই। চিকিৎসকদের মতে, এই সময় শিশুদের জ্বর হলে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে মা-বাবাকে। শিশুর ডেঙ্গু প্রতিরোধে চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে সতর্ক থাকবেন এবং কী করবেন। 

* শিশুদের জ্বর হলে গড়িমসি করবেন না।  চিকিৎসকের নির্দেশে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুদের জ্বরে কোনও ঔষধ দেয়া উচিত না। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে জ্বর বেশি হলে মাথায় পানিপট্টি দিতে পারেন এবং হালকা গরম পানি দিয়ে গা-হাত-পা মুছে দিতে পারেন। 

* এ সময়ে জ্বর, সর্দি, পেটে ব্যথা দিয়ে রোগের সূত্রপাত হয়।  এই অবস্থায় রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গুর জীবাণু পাওয়া গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

* শিশুদের যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এই সময়ে শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও জলীয় খাবার দিতে হবে। নিয়ম করে রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যা পরীক্ষা করাতে হবে। 

* যদি বমি হয়, তাহলে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করার দরকার হতে পারে। একইসাথে জ্বরের মধ্যে শিশুদের প্রস্রাবের পরিমাণ যদি কমে যায় তাহলেও ঝুঁকি না নিয়ে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো দরকার। বুকে বা পেটে ব্যথা করছে বললেও দ্রুত হাসপাতালে নেয়াই ভালো।

সাধারণ সাবধানতা হিসাবে খেলতে বা স্কুলে গেলে হাতে- পায়ে বা শরীরের খোলা অংশে মশা তাড়ানোর ক্রিম মাখিয়ে দিন। এছাড়া ফুলহাতা জামা আর লম্বা পাজামা বা প্যান্ট পরিয়ে রাখুন।

আজকাল অনেকেই মশারি ব্যবহার করেন না। যত অনভ্যাসই থাক, শিশু আর নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বর্ষার কটাদিন মশারির ভিতর ঘুমনোর চেষ্টা করুন।

নোংরা হোক বা পরিষ্কার কোথাও পানি জমে থাকতে দেবেন না। পানির বালতি ঢেকে রাখুন। বাড়ির চারপাশে, কার্ণিশে, ছাদে যেন কোনভাবেই পানি না জমতে পারে সেদিকে নজর রাখুন। 

জানলায় মশা আটকানোর নেট লাগিয়ে নিতে পারেন।
 
* ধূপ দিয়েও মশা তাড়াতে পারেন। মশা তাড়ানোর জন্য কর্পূর জ্বালিয়ে রাখতে পারেন বাড়িতে। ইউক্যালিপটাস, তুলসী, লেমনগ্রাস এই গাছগুলো রাখতে পারেন ঘরে বা বারান্দায়। এদের গন্ধে মশা দূর হয়।

শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এ সময় ওদের ডায়েটের উপর নজর দিতে হবে। শিশুদের বেশি করে ব্রকোলি, দই, টকজাতীয় ফল, পালংশাক, বাদাম খাওয়াতে হবে। একইসঙ্গে পরিমাণ মতো পানি খাচ্ছে কিনা সেটাও দেখতে হবে।