শীতের সবজি শিম

শীতকাল মানেই বাজারে দারুণ স্বাদের নানা রংয়ের সবজি। এই সবজির মধ্যে আমাদের পছন্দের সবজি হলো শিম। ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো শীতের সবজি হলেও আজকাল সারাবছর পাওয়া যায়। কিন্তু শিমের জন্য শীতকালের অপেক্ষা করতে হয়। ফলে শিমের ভর্তা, শিমের ঘন্ট, শিম-আলুর চচ্চড়ি, শিমের বিচি দিয়ে মাছের ঝোল এরকম নানা উপাদেয় খাবারের কথা মনে হয় আমাদের। 

কিন্তু শুধু মজাদার খাবারের জন্যই না, শিমের রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। যে কারণে শিম খাওয়া ভীষণ প্রয়োজন।

* শিমের মধ্যে থাকে ভিটামিন বি সিক্স, থায়ামিন, পেন্টোথেনিক অ্যাসিড, নিয়াসিন।  বলা হয়, মেয়েদের অনিয়মিত পিরিয়ড ঠিক করতে শিম খুবই উপকারি। শিম খেলে শরীররে শক্তির পরিমাণ বাড়ে। এতে হার্টও ভালো থাকে বলে মনে করা হয়। 

* ত্বক ভালো রাখতে শিম খুবই উপকারি। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানে শিমের ভূমিকা রয়েছে।  শীতের দিনে সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। এক্ষেত্রে শিম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। এমনকি চোখ ভালো রাখতেও রয়েছে শিমের গুরুত্ব। 

* শিমে ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম থাকে। তাই যারা সরাসরি প্রোটিন খান না, তারা শিম খেতে পারেন। শিমের মধ্যে থাকা খনিজ চুল পড়া রোধে কাজ করে। এছাড়া চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

* শিমের বীজেরও রয়েছে নানা উপকারী গুণাগুণ। ঘরোয়া টোটকায় বলা হয়, শরীরে কোথাও ফোলাভাব হলে, শিমের বীজ বা বিচি পিষে তার রস সেখানে লাগালে ফোলাভাব কমে। এছাড়া শিম মুখের রুচি বাড়ায়।

* শিম পাতার রসও খুব উপকারি। পোকামাকড় কামড়ালে শিম পাতা বেটে আক্রান্ত জায়গায় লাগালে তা সহজে উপশম হয়। কিছু চর্মরোগেও শিমপাতার রস ব্যবহার করা হয়।