ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মিষ্টি আলুতে মিলবে নানা উপকার

আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৬ এএম

শীতের বাজারে এখন প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে পুষ্টিসমৃদ্ধ মিষ্টি আলু। রঙিন এই শাকসবজিটি শুধু সুস্বাদুই নয়, শীতকালে দেহকে উষ্ণ ও সুস্থ রাখতে এর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এজন্যই অনেক পুষ্টিবিদ এটিকে শীতকালীন ‘সুপার ফুড’ হিসেবে উল্লেখ করেন। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে দেহে যে উপকার পাওয়া যায় তা বিশেষজ্ঞরা তুলে ধরেছেন নিচে।

মিষ্টি আলুতে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। যারা ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

ভিটামিনসমৃদ্ধ পুষ্টিগুণ

মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬, সি, ম্যাঙ্গানিজসহ নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।

  • ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • ভিটামিন সি সর্দি-কাশি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
    গাঢ় রঙের মিষ্টি আলুতে বিটা-ক্যারোটিন বেশি থাকে, যা এটিকে আরও পুষ্টিকর করে তোলে।

মিষ্টি আলুর পুষ্টি উপাদান স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি আলঝাইমারের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করতে পারে। বিশেষত বেগুনি মিষ্টি আলুর প্রদাহ–বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ মস্তিষ্ককে সুরক্ষা দেয়।

কার্বোহাইড্রেটের একটি স্বাস্থ্যকর উৎস হিসেবে পরিচিত মিষ্টি আলু ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে, ফলে শরীর দীর্ঘ সময় চাঙা থাকে।

মিষ্টি আলুতে প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছে, যা সোডিয়ামের প্রভাব ভারসাম্যপূর্ণ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে, যা হৃদ্‌স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক।

মিষ্টি আলুর গ্লাইসেমিক সূচক মাঝারি, অর্থাৎ এটি ধীরে ধীরে রক্তে গ্লুকোজ বাড়ায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীরাও সীমিত পরিমাণে খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা সেদ্ধ বা ভাপে রান্না করা মিষ্টি আলু খাওয়ার পরামর্শ দেন।

মিষ্টি আলুর গ্লাইসেমিক সূচক কম হলেও অতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই পরিমিত খাওয়াই উত্তম।

NB/SN
আরও পড়ুন