চলছে পবিত্র মাহে রমজান। আর সপ্তাহ তিনেক পরেই ঈদের আনন্দে মেতে উঠবেন সবাই। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটা। কখনো পরিবার আবার কখনো বা নিজের জন্য শপিং করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অনেকে।
সারাদিন রোজা রেখে ক্লান্ত থাকার কারণে অনেকেই বাইরে বের হতে চান না। তারা ভরসা করেন অনলাইন শপিংয়ে। সহজ ও কম সময়ের কেনাকাটার জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন শপিং। বিশেষ করে ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ এই অনলাইন শপিংয়ের অন্যতম মাধ্যম।
তবে ফেসবুক কিংবা অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে যদি আপনি সতর্ক না হন তাহলে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যে কোনো সময় পড়তে পারেন প্রতারকের ফাঁদে।
অনলাইনে কেনাকাটায় সতর্ক থাকা উচিত যেসব বিষয়ে-
> অনলাইনে কেনাকাটার আগে প্রথমেই যাচাই করে নিন যেখান থেকে কিনবেন সে ওয়েবসাইট অথবা পেজটি আসল কি না। কেননা আজকাল ভুয়া সাইট বা পেজের অভাব নেই। প্রতারণার জন্য অনেকেই ভুয়া সাইট খুলে ফাঁদ পেতে বসে থাকে।
> অফার দেখলে আমরা সব ভুলে সেই জিনিসটি নেওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পরি। কিন্তু অফার যদি অস্বাভাবিক হয়, তাহলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। কেননা কোনো বিক্রেতাই নিজের লস করে অফার দেবেন না।
> ওয়েবসাইট বা পেজের বিষয়ে নিশ্চিত হলেও পেমেন্টের বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক সময় এটিএম কার্ড বা ইউপিআই নম্বর ও পাসওয়ার্ড অটো সেভ অপশন থাকে। এটা করবেন না। তাহলে পরে সেই নম্বর ব্যবহার করে প্রতারণার সুযোগ থাকে।
> অনলাইনে কেনাকাটা ও পেমেন্টে পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার না করা উত্তম। কেননা ফ্রি পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক হ্যাক করে গ্রাহককে খুব সহজেই পথে বসাতে দক্ষ প্রতারকরা।
> যে ওয়েবসাইট বা পেজ থেকে কিনছেন তার রিভিউ পড়ুন। পেজে লাইক, কমেন্ট পেইড নাকি অরিজিনাল খেয়াল করুন।
> কেনাকাটার বিভিন্ন স্তরে আর্থিক লেনদেনের স্ক্রিনশট নিয়ে রাখুন, যাতে অঘটন ঘটলেও অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণ থাকে।
> অনলাইনে কেনাকাটার সময় চেষ্টা করবে ক্যাশ অন ডেলিভারি অপশন ব্যবহার করতে। এতে করে আপনি প্রোডাক্ট নিয়ে ঠকার সম্ভাবনা কমে যাবে।
> অনেক কেনাকাটায় আপনার জন্য ফ্রি গিফট আছে বলা হয়। সে জন্য নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংকের তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে বলে। ভুল করেও এটা করা যাবে না। এটা মূলত প্রতারকের ফাঁদ। এই প্রলোভন আপনাকে নিঃস্ব করার জন্য যথেষ্ট।