মাইগ্রেন একটি সাধারণ ও কষ্টদায়ক স্বাস্থ্যসমস্যায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অনেক মানুষ এই মাথাব্যথায় ভুগছেন, যার প্রভাব পড়ে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম ও জীবনে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে কার্যকর ও সহজ উপায় হলো নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুম।
চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো ও জেগে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুললে মাইগ্রেনের প্রকোপ অনেকাংশে কমে যায়। এমনকি ছুটির দিনেও এই রুটিন বজায় রাখা জরুরি, কারণ অতিরিক্ত ঘুম বা ঘুমের ঘাটতি দুইই মাইগ্রেন বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ঘুমের সঠিক রুটিন মানলে যে উপকার
.মাইগ্রেনের তীব্রতা ও ঘনত্ব কমে
.শরীর ও মন স্থিতিশীল থাকে
.মানসিক চাপ হ্রাস পায়
.স্নায়ু শান্ত থাকে, যা মাইগ্রেন কমাতে সাহায্য করে
মাইগ্রেন কমাতে আরও কিছু কার্যকর পরামর্শ
স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ: ধ্যান, যোগব্যায়াম বা রিল্যাক্সেশন অনুশীলন মানসিক চাপ কমায়।
নিয়মিত হালকা ব্যায়াম: হাঁটা বা শরীরচর্চা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
পর্যাপ্ত পানি পান: পানিশূন্যতা মাথাব্যথা বাড়ায়, তাই প্রচুর পানি পান জরুরি।
স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ: দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনে তাকালে ঝুঁকি বাড়ে, তাই ২০-২০-২০ নিয়ম মেনে চলতে হবে।
সুষম খাদ্যাভ্যাস: বাদাম, কলা, তরমুজ ও মাশরুমের মতো খাবার মাইগ্রেন কমাতে সহায়ক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে শুধু ওষুধ নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর তার মধ্যে নিয়মিত ঘুমকে দেওয়া হচ্ছে সর্বাধিক গুরুত্ব।
এভাবে ঘুম ও জীবনধারায় পরিবর্তন আনলেই অনেকাংশে কমানো সম্ভব মাইগ্রেনের যন্ত্রণা।