বাস র্যাপিড ট্রানজিট- বিআরটি এয়ারপোর্ট-গাজীপুর প্রকল্পের আওতায় ৭টা ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
রোববার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে থেকে উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি জানান, এই প্রকল্পের নাম গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট - বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট।
মন্ত্রী জানান, এর সর্বমোট প্রকল্প ব্যয় ৪ হাজার ২শ ৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। মোট প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার। এটির অর্থায়ন করেছে সরকার, এডিবি, ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা- এফডি, গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি- জিইএফ।
প্রকল্পের অগ্রগতি ৯১ ভাগ। ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এটা ঈদকে সামনে রেখে দেশের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আরেক উপহার বলে জানান সেতুমন্ত্রী।
ঈদে গাজীপুরে যানজট কমাতে ফাইওভার খুলে দেওয়ার কথা মন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমুলক সভায় তিনি বলেন, ঈদে দুই জায়গা ঠিক করলে সব ঠিক; এর একটি গাজীপুর দিক থেকে ঢাকা অংশের প্রবেশ পথ।
২০১১ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক প্রকল্পের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে। ২০১২ সালের পহেলা ডিসেম্বর একনেকে বিআরটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। এরপর কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল।
শুরুতে এই প্রকল্পের দৈর্ঘ্য চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত থাকলেও পরে সময় বৃদ্ধি করে প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হয়। সেই সঙ্গে প্রকল্প সংকুচিত করে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে কেরানীগঞ্জের পরিবর্তে দূরত্ব কমিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত করা হয়।
ঢাকার সঙ্গে গাজীপুরের যোগাযোগে মানুষের ভোগান্তি দূর করতে শুরুতে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল চার বছরের মধ্যে, সবশেষ ফ্লাইওভারের কাজ সম্পন্ন হয় ১২ বছরে। তবে এখনও বাকি রয়েছে সড়ক পথের কাজ ও বাস আমদানি।