চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুন: বাগেরহাট থেকে সেই ইরফান গ্রেপ্তার

চাঁদপুরে মেঘনায় জাহাজে সাতজনকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহজনক আকাশ মন্ডল ইরফান নামে একজনকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা জেলার র‌্যাব-১১ এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানায়। জাহাজে হামলার শিকার আটজনের সঙ্গে ছিলেন ইরফান। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় হাইমচর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে জাহাজ মালিকের পক্ষে মো. মাহবুব মোরশেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মাহবুব মোরশেদের বাড়ি ঢাকার দোহার এলাকায়। এতে খুন ও ডাকাতির অভিযোগ এনে অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে মরদেহ ৭টি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতরা হলেন- জাহাজের মাস্টার ফরিদপুর জোয়াইর উপজেলার মো. গোলাম কিবরিয়া (৬৫), তার ভাগনে জাহাজের লস্কর শেখ সবুজ (৩৫), সুকানী নড়াইল লোহাগড়ার আমিনুল মুন্সী (৪০), লস্কর মাগুরার মোহাম্মদপুর এলাকার মো. মাজেদুল ইসলাম (১৭), একই এলাকার লস্কর সজিবুল ইসলাম (২৬), নড়াইল লোহাগড়া এলাকার জাহাজের ইঞ্জিনচালক মো. সালাউদ্দিন মোল্লা (৪০) ও মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগর থানার জাহাজের বাবুর্চি রানা (২০)।

মামলার বাদী মাহবুব মুর্শেদ এজহারের বিবরণে উল্লেখ করেন, আহত জুয়েল গলায় কাটা রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়ে কথা বলতে না পারায় ডাকাত দলের বিস্তারিত বিবরণ দিতে পারেননি। তিনি সুস্থ হলে ডাকাতদলকে দেখলে চিনবেন বলে ইশারায় জানিয়েছেন। তবে জুয়েলের সঙ্গে ৯ জন ছিলেন বলে লিখে জানিয়েছেন। ৯ নম্বর ব্যক্তির নাম ইরফান। তবে তার ঠিকানা দিতে পারেননি।

ঘটনার পর পুলিশ ওই জাহাজ পরিদর্শনকালে একটি রক্তাক্ত চাইনিজ কুড়াল, একটি ফোল্ডিং চাকু, দুটি স্মার্টফোন, দুটি বাটন ফোন, একটি মানিব্যাগ, নগদ ৮ হাজার টাকা, একটি বাংলা খাতা, একটি সিল, একটি হেডফোন, একমুঠো ভাত ও এক চামচ তরকারি জব্দ করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে এমভি আল বাখেরা জাহাজ থেকে ৭ জনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।