অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন মতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি ভারতে বসে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালায়, তার দায় দেশটিকেই নিতে হবে।
তিনি অবশ্যই এই কর্মকাণ্ডের দায় হিসেবে আমরা ভারতের কাছে জবাবদিহিতা চাইব।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রহমান হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে, এটা নিয়ে তাদের বক্তব্য রয়েছে। আমরা সেটা তাদের থেকে জানতে চাই।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভারতে বসে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আমরা বলতে চাই, আতঙ্ক ছড়িয়ে লাভ নেই। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ছাত্রজনতা মাঠে আছে, মাঠে থাকবে।
ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের ছয় মাস পুরো হলো বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি)। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের পতনের পর আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে রিকশাচালক, দিনমজুর, শ্রমিক, শিক্ষক, আইনজীবী, প্রবাসী, ব্যবসায়ী এমনকি বেকার- সবাই নেমেছিলেন রাস্তায়। সোচ্চার হয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ছাত্র-জনতার পক্ষে দাঁড়ান সেনা সদস্যরা; মাঠে নামেন সাবেক সেনা কর্মকর্তারা। আওয়ামী লীগের শাসনামল জুড়ে নির্যাতনের শিকার হওয়া রাজনৈতিক দলগুলো হয়ে উঠেছিল আন্দোলনের অভিজ্ঞ ঢাল।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পরিবেশ সামাল দিতে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রাণভয়ে ভারতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমেই পতন হয়েছিল ‘একনায়কতান্ত্রিক’ হাসিনার শাসনের।