যুক্তরাষ্ট্রের পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন উমামা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী নারীদের সাহসী ভূমিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিত্তিক ‘ম্যাডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রত্যাখ্যান করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। 

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে শনিবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে দেয়া এক পোস্টে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সম্মান রেখে তিনি এ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জানান। 

পোস্টে উমামা লিখেছেন, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ’ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ এর পক্ষ থেকে জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নারী আন্দোলনকারীদের বিশেষ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এই অ্যাওয়ার্ডের অধীনে ‘ম্যাডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে জুলাই অভ্যুত্থানের সকল নারীদের এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে দেয়া লেখাটি নিজের পোস্টে উদ্ধৃত করে তিনি লেখেন, আগামী ১ এপ্রিল ২০২৫ যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মার্কো রুবিও এবং ফার্স্ট লেডি মিলানিয়া ট্রাম্প পুরস্কার প্রদান করবেন। 

তবে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন জানিয়ে উমামা লেখেন, নারী আন্দোলনকারীদের কালেক্টিভ (যৌথ) স্বীকৃতি আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের নারকীয় হামলাকে প্রত্যক্ষভাবে এন্ডোর্স করে যাওয়ার জন্য এ অ্যাওয়ার্ডটি ব্যবহৃত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অস্বীকার করে পুরস্কারটি ইসরায়েলের হামলাকে যে প্রক্রিয়ায় জাস্টিফাই করেছে তা পুরস্কারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যেখানে ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের মৌলিক মানবাধিকার(ভূমির অধিকার) থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। তাই ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সম্মান রেখে এই পুরস্কার আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যাখ্যান করলাম।

২০০৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ৯০টিরও বেশি দেশের ২০০ জনেরও বেশি নারীকে পুরস্কার দিয়ে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিদেশে মার্কিন কূটনৈতিক মিশনগুলো তাদের নিজ নিজ আয়োজক দেশ থেকে একজন সাহসী নারীকে মনোনীত করে এবং চূড়ান্ত প্রার্থীদের নির্বাচন করা হয়। দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তা চূড়ান্ত অনুমোদন করেন।