বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচণে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দায়িত্ব পালনকরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি ইসির উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দেশের সব জেলা প্রশাসককে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা এক মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে ওই তিন নির্বাচনে দায়িত্বপালনকরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেটদের তথ্য চেয়েছে পিবিআই।
ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, পিবিআইয়ের অনুরোধে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দায়িত্বপালনকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের নাম, পরিচয়পত্র নম্বর, ঠিকানা, পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে), মোবাইল নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। পিবিআই এ তথ্য চাইছে মূলত একটি মামলা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তদন্তকারী সংস্থা নির্বাচনের সময়কার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কার্যক্রম ও ভূমিকা পর্যবেক্ষণের জন্য এ ধরনের তথ্য সংগ্রহ করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে, পিবিআই ওই তিনটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের তথ্যও চেয়ে পাঠিয়েছিল। বর্তমানে ম্যাজিস্ট্রেটদের তথ্য চাওয়া সেই অনুসন্ধানের একটি পরবর্তী ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আরও জানান, আমরা জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করছি। তথ্যপ্রাপ্তির পর তা যথাসময়ে পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে নানা সময়ে বিতর্ক ও প্রশ্ন উঠেছে-বিশেষত নির্বাচন পরিচালনার নিরপেক্ষতা ও সহিংসতা সংক্রান্ত অভিযোগ ঘিরে। এসব প্রেক্ষাপটে, পিবিআই-এর তদন্তে নির্বাচনী দায়িত্বপালনকারীদের ভূমিকা বিশ্লেষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে।