প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তান ও ইতালির প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে কি বৈঠক হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। 

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) তাদের মধ্যে বৈঠকটি হয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বৈঠকে মূলত ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনের সময় বাংলাদেশিদের দুঃখজনক মৃত্যুর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আলোচনা করা হয়েছে। মানবপাচারকারীরা তাদের সমুদ্রপথে ইতালিতে যাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করে, যা অনেকের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’

তিনি জানান, বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার দেশ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তর  অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা সম্মেলনে একটি উচ্চ-স্তরের প্রতিনিধি দল পাঠাবে।

মুহাম্মদ ইউনূস ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী হতে অনুরোধ করেন। ইতালির প্রধানমন্ত্রী ইতালি-বাংলাদেশ ব্যবসায়িক ফোরাম গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। 

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৈঠক করেন ড. ইউনূস।

প্রেস সচিব জানান, ইতালি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে সমর্থন জানিয়েছে। জর্জিয়া মেলোনি আশা প্রকাশ করেছেন, তিনি আগামী ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফর করবেন। তারও আগে দিনের শুরুতে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সঙ্গে বৈঠক করেন মুহাম্মদ ইউনূস।

একইদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি ট্রাম্পকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মুহাম্মদ ইউনূস। তাদের মধ্যে ছিলেন স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় মার্কিন বিশেষ দূত সার্জিও গরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।