শিক্ষকতার দায় ও রাজনীতির প্রলোভন

শিক্ষার্থীর অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

শিক্ষা হচ্ছে সমাজের ভিত্তি, সংস্কৃতির ধারক এবং দেশের অগ্রগতির মূল স্তম্ভ। বিশ্ববিদ্যালয় হলো সেই স্থল যেখানে বীজ বোনা হয় চিন্তার, নৈতিকতার এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের। এখানে শিক্ষক কেবল জ্ঞান সরবরাহকারী নন; তিনি শিক্ষার্থীর মানসিক, নৈতিক এবং বৌদ্ধিক বিকাশের পথপ্রদর্শক। একজন শিক্ষক যদি সত্যিই সফল হতে চান, তবে তার মেধা, সময় এবং নৈতিক দায়বদ্ধতা শিক্ষার্থীর বিকাশে উৎসর্গ করা অবশ্যক, রাজনৈতিক দলের প্রতি অনাবশ্যক আকর্ষণ নয়।

বিশ্ববিদ্যালয় একটি জটিল সমাজের মাইক্রোকসম। এখানে বিভিন্ন সংস্কৃতি, চিন্তাভাবনা, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সামাজিক শ্রেণির মেলবন্ধন ঘটে। শিক্ষকরা এই মেলবন্ধনের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করে শিক্ষার্থীর চিন্তাশক্তি ও নৈতিক বিকাশকে প্রভাবিত করেন। শিক্ষার্থী যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে, সে কেবল পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান নয়; বরং স্বাধীন চিন্তা, বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের জন্য আসে। শিক্ষক যদি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হন, তবে তার মনোযোগ বিভক্ত হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত ও মানসিক বিকাশ ক্ষুণ্ন হয়।

রাজনীতি সমাজে প্রয়োজনীয়; কিন্তু এটি একজন শিক্ষকের মূল দায়িত্বের সঙ্গে কখনো সমানভাবে সমন্বয়পূর্ণ নয়। শিক্ষক রাজনৈতিক দল বা স্বার্থ-সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে যুক্ত হলে তার সময়, শক্তি এবং মনোযোগ শিক্ষার্থীর জন্য সীমিত হয়ে যায়। শিক্ষার্থীর সঠিক বিকাশের সুযোগ হারায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এমন একজন রোল মডেল খুঁজে থাকে, যিনি কেবল জ্ঞান সরবরাহ করেন না; বরং নৈতিক, সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক মানের উদাহরণ হিসেবে উপস্থিত থাকেন। শিক্ষক যদি রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিগত স্বার্থে লিপ্ত হন, শিক্ষার্থীর কাছে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।

একজন শিক্ষককে অবশ্যই সচেতন হতে হবে যে, তার প্রতিটি পদক্ষেপ শিক্ষার্থীর মানসিক ও নৈতিক বিকাশকে প্রভাবিত করে। যদি শিক্ষক রাজনৈতিক দলের স্বার্থে নিজেকে উৎসর্গ করেন, তবে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হয়। তারা বুঝতে পারে না কখন শিক্ষক শিক্ষার কথা বলছেন, কখন রাজনৈতিক স্বার্থের কথা বলছেন। এতে শিক্ষার্থীর মধ্যে অসন্তুষ্টি, হতাশা এবং অনুপ্রেরণার অভাব সৃষ্টি হয়।

শিক্ষক যে মেধা, সময় এবং নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষার্থীর বিকাশে ব্যবহার করেন, সেটিই তার প্রকৃত ক্ষমতা এবং প্রভাব। রাজনৈতিক দলের প্রতি উৎসর্গিত মেধা শিক্ষার্থীর উন্নয়নে সীমিত অবদান রাখে। একজন সফল শিক্ষক সেই ব্যক্তি, যিনি তার ছাত্রছাত্রীদের চিন্তাশক্তি, সৃজনশীলতা এবং নৈতিক বিকাশে সর্বাধিক অবদান রাখেন। ক্ষমতা, জনপ্রিয়তা বা রাজনৈতিক প্রভাব অর্জন শিক্ষকের মূল দায়িত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সমাজের দায়িত্বও বহন করেন। তাদের মেধা ও জ্ঞান শুধু শিক্ষার্থীর জন্য নয়; বরং সমাজের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। যদি শিক্ষক রাজনৈতিক দলের স্বার্থে সময় ব্যয় করেন, তবে সমাজের ভবিষ্যৎকে ক্ষতি করা হয়। শিক্ষার্থীর মানসিক ও নৈতিক বিকাশ সীমিত হয়। একজন শিক্ষককে অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে যে তার প্রতিটি কার্যকলাপ শিক্ষার্থীর জীবন ও ভবিষ্যতের সঙ্গে সম্পর্কিত।

শিক্ষক হওয়া মানে কেবল জ্ঞান পরিবেশনের কাজ নয়। এটি মানে শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্ব, নৈতিকতা, চিন্তাশক্তি এবং সামাজিক দায়িত্বের বিকাশ। শিক্ষার্থী যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে, সে কেবল শিক্ষার জন্য আসে না; বরং সমাজে সক্রিয় ও নৈতিক ব্যক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য আসে। শিক্ষক যদি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হন, শিক্ষার্থীর নৈতিক ও বৌদ্ধিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। তারা হয়তো স্বতন্ত্রভাবে চিন্তা করতে, বিশ্লেষণ করতে বা সৃজনশীল হতে সক্ষম হয় না।

রাজনীতি অবশ্যই প্রয়োজন; কিন্তু এটি শিক্ষকের মূল দায়িত্বের চেয়ে প্রাধান্য পেলে শিক্ষার্থীর মানসিক ও নৈতিক বিকাশ ক্ষুণ্ন হয়। শিক্ষককে রাজনৈতিক প্রলোভন ও ক্ষমতার আকর্ষণ থেকে দূরে থাকতে হবে। তার মেধা ও সময় শিক্ষার্থীর উন্নয়নে নিবদ্ধ করা উচিত। শিক্ষার্থীর জীবন ও ভবিষ্যৎ গঠন হলো শিক্ষকের সবচেয়ে বড় সাফল্য।

একজন শিক্ষক যদি তার মেধা, সময় এবং নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষার্থীর বিকাশে উৎসর্গ করেন, তবে সেই শিক্ষক সত্যিই সফল এবং সমাজের জন্য এক অমূল্য সম্পদ। রাজনৈতিক দলের আকর্ষণ শিক্ষকের শিক্ষাদানের দায়িত্বকে ক্ষুণ্ন করতে পারে। তবে শিক্ষার্থীর জীবন ও ভবিষ্যৎ গঠন করার ক্ষমতা শিক্ষককে অমর করে। শিক্ষার্থীর চিন্তাশক্তি, সৃজনশীলতা এবং নৈতিক বিকাশের জন্য শিক্ষককে সর্বদা উপস্থিত থাকতে হবে। শিক্ষার্থীর বিকাশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। এখানে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে শিক্ষার মানোন্নয়ন, মনোরোগ সেবা, নৈতিক শিক্ষা, সৃজনশীল কর্মশালা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং সহানুভূতি। শিক্ষককে অবশ্যই তার মেধা এবং সময় শিক্ষার্থীর জন্য উৎসর্গ করতে হবে। রাজনৈতিক দলে যুক্ত হওয়া বা ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য মেধা ব্যয় শিক্ষার্থীর উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীর নৈতিক ও সামাজিক বিকাশে দিকনির্দেশ প্রদান করে। তারা ছাত্রছাত্রীদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে, বিশ্লেষণ করতে এবং সৃজনশীল হতে শেখায়। যদি শিক্ষক রাজনৈতিক দলের স্বার্থে নিজেকে উৎসর্গ করেন, শিক্ষার্থীর মানসিক ও নৈতিক বিকাশ ক্ষুণ্ন হয়। শিক্ষার্থীর মধ্যে হতাশা, বিভ্রান্তি এবং অনুপ্রেরণার অভাব সৃষ্টি হয়। শিক্ষকরা সমাজের ভবিষ্যতের নির্মাতা। তাদের মেধা এবং সময় শিক্ষার্থীর বিকাশে উৎসর্গ করা সমাজের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। রাজনৈতিক দলের প্রতি আগ্রহ শিক্ষকের মেধা বিকাশের মূল দায়িত্বকে ক্ষুণ্ন করে। শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ, চিন্তাশক্তি এবং নৈতিকতা শিক্ষকের অবদান ছাড়া বিকশিত হতে পারে না। শিক্ষক হওয়া মানে দায়িত্বের অন্তহীনতা। শিক্ষার্থীর বিকাশ, নৈতিক ও বৌদ্ধিক উন্নয়ন শিক্ষকের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হতে হবে। রাজনৈতিক দলের আকর্ষণ শিক্ষকের প্রভাবকে শিক্ষার্থীর উন্নয়নের বাইরে সীমাবদ্ধ করে। শিক্ষক যদি তার মেধা শিক্ষার্থীর বিকাশে উৎসর্গ করেন, তবে তিনি সত্যিই সফল, সমাজের জন্য অমূল্য।

শিক্ষকরা শিক্ষার্থীর রোল মডেল। তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ শিক্ষার্থীর মানসিক, নৈতিক এবং বৌদ্ধিক বিকাশকে প্রভাবিত করে। রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিগত স্বার্থের প্রতি উৎসর্গ শিক্ষার্থীর বিকাশকে ক্ষুণ্ন করে। শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভ্রান্তি, হতাশা এবং অনুপ্রেরণার অভাব সৃষ্টি হয়। শিক্ষককে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।

শিক্ষকরা সমাজের ভবিষ্যতের রূপকার। তাদের মেধা ও সময় শিক্ষার্থীর বিকাশে উৎসর্গ করা সমাজের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। রাজনৈতিক দলের প্রতি আগ্রহ শিক্ষকের শিক্ষাদানের দায়িত্বকে ক্ষুণ্ন করে। শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ, চিন্তাশক্তি এবং নৈতিকতা শিক্ষকের অবদান ছাড়া বিকশিত হতে পারে না।

শিক্ষকরা শিক্ষার্থীর বিকাশের জন্য দায়িত্বশীল। তাদের মেধা, সময় এবং নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষার্থীর উন্নয়নে উৎসর্গ করতে হবে। রাজনৈতিক দলের প্রতি আগ্রহ শিক্ষকের মূল দায়িত্বকে ক্ষুণ্ন করে। শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ এবং সমাজের স্থায়িত্ব শিক্ষকের দায়িত্বের ওপর নির্ভরশীল।

শিক্ষকরা শিক্ষার্থীর নৈতিক ও সামাজিক বিকাশে দিকনির্দেশ প্রদান করে। তারা ছাত্রছাত্রীদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে, বিশ্লেষণ করতে এবং সৃজনশীল হতে শেখায়। যদি শিক্ষক রাজনৈতিক দলের স্বার্থে নিজেকে উৎসর্গ করেন, শিক্ষার্থীর মানসিক ও নৈতিক বিকাশ ক্ষুণ্ন হয়। শিক্ষার্থীর মধ্যে হতাশা, বিভ্রান্তি এবং অনুপ্রেরণার অভাব সৃষ্টি হয়।

শিক্ষকরা সমাজের ভবিষ্যতের নির্মাতা। তাদের মেধা এবং সময় শিক্ষার্থীর বিকাশে উৎসর্গ করা সমাজের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। রাজনৈতিক দলের প্রতি আগ্রহ শিক্ষকের প্রভাবকে শিক্ষার্থীর উন্নয়নের বাইরে সীমাবদ্ধ করে। শিক্ষক যদি তার মেধা শিক্ষার্থীর বিকাশে উৎসর্গ করেন, তবে তিনি সত্যিই সফল, সমাজের জন্য অমূল্য।

শিক্ষকরা শিক্ষার্থীর রোল মডেল। তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ শিক্ষার্থীর মানসিক, নৈতিক এবং বৌদ্ধিক বিকাশকে প্রভাবিত করে। রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিগত স্বার্থের প্রতি উৎসর্গ শিক্ষার্থীর বিকাশকে ক্ষুণ্ন করে। শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভ্রান্তি, হতাশা এবং অনুপ্রেরণার অভাব সৃষ্টি হয়। শিক্ষককে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।

শিক্ষকরা সমাজের ভবিষ্যতের রূপকার। তাদের মেধা ও সময় শিক্ষার্থীর বিকাশে উৎসর্গ করা সমাজের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। রাজনৈতিক দলের প্রতি আগ্রহ শিক্ষকের শিক্ষাদানের দায়িত্বকে ক্ষুণ্ন করতে পারে; কিন্তু শিক্ষার্থীর জীবন এবং ভবিষ্যৎ গঠন করার ক্ষমতা শিক্ষককে সত্যিই অমূল্য করে তোলে। একজন শিক্ষক যখন তার মেধা, সময় এবং নৈতিক দায়িত্ব শিক্ষার্থীর উন্নয়নে উৎসর্গ করেন, তখন সে সমাজের জন্য এক অনন্য সম্পদ হয়ে ওঠে। এটি কেবল শিক্ষার্থীর নয়, পুরো জাতির ভবিষ্যৎ গঠন করে।

একজন শিক্ষক যদি রাজনৈতিক দলের স্বার্থে নিজেকে নিয়োজিত করেন, তবে তার শিক্ষার্থীর বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। তারা হয়তো স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে, বিশ্লেষণ করতে, সৃজনশীল হতে সক্ষম হয় না। এতে শিক্ষার্থীর মধ্যে হতাশা, বিভ্রান্তি এবং অনুপ্রেরণার অভাব জন্মায়। শিক্ষককে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে যে তার প্রতিটি পদক্ষেপ শিক্ষার্থীর মানসিক, নৈতিক এবং বৌদ্ধিক বিকাশকে প্রভাবিত করে। শিক্ষার্থীর সঠিক বিকাশ ছাড়া রাষ্ট্র ও সমাজের ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত।

শিক্ষক হওয়া মানে কেবল পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান বিতরণ নয়, এটি শিক্ষার্থীর নৈতিক, সামাজিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের দায়। শিক্ষক যখন তার মেধা ও সময় শিক্ষার্থীর উন্নয়নে উৎসর্গ করেন, তখন সে শিক্ষার্থীর চিন্তাশক্তি, সৃজনশীলতা এবং নৈতিক মূল্যবোধ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। রাজনৈতিক দলে যুক্ত হওয়া বা ব্যক্তিগত স্বার্থে মেধা খরচ করা শিক্ষকের মূল দায়িত্বকে ক্ষুণ্ন করে, যা শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ ও সমাজের স্থায়িত্বের জন্য ক্ষতিকর।

পরিশেষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যদি তাদের মেধা, সময় এবং নৈতিক দায়িত্ব শিক্ষার্থীর বিকাশে উৎসর্গ করেন, তবে তারা সত্যিই সফল ও সমাজের জন্য এক অমূল্য সম্পদ হয়ে ওঠেন। শিক্ষার্থীর বিকাশই শিক্ষকতার প্রকৃত সাফল্য। রাজনৈতিক প্রলোভন বা ক্ষমতার আকর্ষণ শিক্ষকের দায়িত্বের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। শিক্ষার্থীর জীবন, চিন্তাশক্তি এবং নৈতিকতা গঠনে শিক্ষকের ভূমিকা চিরকাল অপরিসীম এবং অবিস্মরণীয়। একমাত্র এই দায়িত্বের মাধ্যমে শিক্ষকের প্রকৃত সফলতা এবং সমাজের স্থায়িত্ব নিশ্চিত হয়।

লেখক: কলামিস্ট