ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এবং স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
বুধবার (১৪ মে) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ এক বিবৃতিতে সাম্য হত্যার বিচার দাবি করেন।
ইউনুস আহমেদ বিবৃতিতে বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান কাজই হলো জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মানুষ রাষ্ট্রকে এজন্যই কর দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের ভাগ্যাহত মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি কোনোকালেই। পতিত ফ্যাসিবাদের আমলের কথা বাদ দিলেও অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসের পরিসংখ্যানে প্রতিদিন গড়ে ৯ জন মানুষ খুন হয়েছে। পরের মাসগুলোর পরিসংখ্যানও একইরকম হবে। একটি স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ দেশে এভাবে মানুষ খুন মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সারাবিশ্বেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দক্ষতার জন্য প্রশংসিত। সেই সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নিয়ে মাঠে থাকার পরেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন করুণ দশা আমাদেরকে বিচলিত করছে। এর পেছনে কোন রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি কাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব বলেন, ঢাকার কেন্দ্রে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাও এখন নিরাপদ নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যের ঘটনা আমাদেরকে ব্যথিত ও বিস্মিত করেছে। সামান্য ঘটনায় মেধাবী এক তরুণের এমন মৃত্যু আমাদের সামাজিক অস্থিরতা ও অসহিষ্ণুতাকে প্রকট করে তোলে। এঘটনায় জড়িতদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত দৃশ্যমান উন্নতি করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) মধ্যরাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জানা গেছে, মুক্তমঞ্চের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সাম্যর মোটরসাইকেলের সাথে আরেকটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। পরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় সহপাঠীরা। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে বারোটায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।