আওয়ামী-বাকশালীরা কথিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে জামায়াত নির্মূল ও জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য আল্লামা সাঈদীকে সর্বপ্রথম ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরার একটি অডিটরিয়ামে উত্তরা পশ্চিম থানা জামায়াত আয়োজিত ষান্মাসিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন থানা আমির মাজহারুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি ফিরোজ আলম সঞ্চালনা করেন।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, আল্লামা সাঈদী ছিলেন বিশ্ববরেণ্য মুফাসসিরে কোরআন, খ্যাতিমান বাগ্মী ও দু্ইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হত্যা করার নীলনকশা করে। ২০১২ সালের স্কাইপ কেলেঙ্কারি ও সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর অপহরণের ঘটনা সেই ষড়যন্ত্রকে প্রকাশ করে। তবুও তাকে দীর্ঘ ১৫ বছর কারাভোগ করতে হয় এবং তার কারাগারে মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যাবৃত রয়ে গেছে। তিনি সাঈদীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, গত ১৮ বছরে সরকার জামায়াতের ১১ শীর্ষনেতাসহ ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, আহত করেছে ৫ হাজারের বেশি মানুষকে, আর গ্রেপ্তার করেছে লক্ষাধিক নেতাকর্মীকে। কিন্তু এতে জামায়াতের অগ্রযাত্রা থামেনি।
সম্মেলন শেষে আল্লামা সাঈদীসহ নিহত জাতীয় নেতৃত্ব ও জুলাই শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।