ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির ওয়েবসাইটে গত ১৩ আগস্ট প্রকাশিত ‘জামায়াত নেতার নির্দেশে হত্যাকাণ্ড’ শিরোনামের একটি সংবাদকে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও মনগড়া উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে প্রকাশিত উক্ত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, মনগড়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সেখানে জামায়াত নেতাদের নির্দেশে একজন সরকারি কর্মকর্তাকে হত্যা করে তার মরদেহ সিঁড়ি দিয়ে টেনে তোলার যে দৃশ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা বাস্তবতার সঙ্গে একেবারেই সাংঘর্ষিক।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং ফ্যাক্ট চেক প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যমতে, উক্ত ভিডিওটি আসলে ভারতের বিহার রাজ্যের পশ্চিম চম্পারণ জেলার বেত্তিয়া শহরের সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একটি ঘটনার অংশ-যেখানে ১১ আগস্ট ২/১জন ব্যক্তির মৃতদেহ সিঁড়ি দিয়ে টেনে তোলার দৃশ্য ধরা পড়ে। সেই ভিডিওকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে জামায়াতের নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা চরম বিভ্রান্তিকর ও নিন্দনীয়।’
‘ভারতীয় একটি প্রভাবশালী গণমাধ্যমের এমন ধরনের অপপ্রচার গোয়েবলসীয় প্রচার কৌশলকেও হার মানিয়েছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতের কিছু মিডিয়া জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ পরিবেশন করে চলেছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণসহ আন্তর্জাতিক সমাজকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের তথ্যসন্ত্রাসের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। বরং এতে ভারতীয় গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই আমি ভারতীয় মিডিয়াগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার থেকে বিরত থাকে এবং সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতার নীতি অনুসরণ করে।’