জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই নেতার নতুন দুটি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স পাওয়া নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেছেন, ‘শুনেছি এনসিপির নেতৃবৃন্দের নামে দুটি গণমাধ্যম অনুমোদন করা হয়েছে। যে দুইজনের নামে হয়েছে, তাদের আমি ভালোভাবে চিনি। তারা নিজের ফ্যামিলি নিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছে।’
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ডাকসুর সাবেক এই ভিপি।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমি একটি দলের প্রধান, কিন্তু ৫ আগস্টের পরে যেখানে ছিলাম ওখানেই আছি। তারা অনেকে আমার সহকর্মী ছিলেন। ছোট একটা পত্রিকায় চাকরি করেন। অত ভালো বেতনও না। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া বলতে আমরা যা বুঝি, সেখানেও কেউ কাজ করেন না। কোত্থেকে কীভাবে কী দেওয়া হয়, সেটা আমি জানি না। এটা আমি খুব অবাক হয়েছি। এটার মধ্যে দিয়ে এ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যে অস্বচ্ছতা ও পক্ষপাতমূলক মনোভাব রয়েছে, সেগুলো বোধহয় প্রকাশ পেয়েছে।’
তিনি খুব অবাক হয়েছেন জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘এটার মধ্যে দিয়ে এ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যে অস্বচ্ছতা ও পক্ষপাতমূলক মনোভাব রয়েছে, সেগুলো বোধহয় প্রকাশ পেয়েছে।’
নুর বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুরুর দিকে যেভাবে অ্যাকশন দেখিয়েছিল। বিশেষ করে মানুষকে যেভাবে একটা শৃঙ্খলায় নিয়ে আসার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, এই গণঅভ্যুত্থানের সরকারের কাছে আমরা সেটা দেখিনি। এই সরকারের সময় আমরা দেখেছি পুরনো স্টাইলে ভাগ-বাটোয়ারা, নিয়ন্ত্রণ, লোকজন বসানো ও প্রতিষ্ঠান দখল এগুলো চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে অনেক গণমাধ্যম দখল হয়েছে। এগুলো আমরা এই সরকার দ্বারা প্রত্যাশা করিনি। এই সরকারে যারা আছেন, তাদের এর দায় নিতে হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) নতুন দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্র্বতী সরকার। চ্যানেল দুটির নাম ‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’।
এর মধ্যে ‘নেক্সট টিভি’র লাইসেন্স পেয়েছেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন। তিনি একটি ইংরেজি দৈনিকের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। এনসিপি গঠিত হওয়ার পর দলটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হন তুহিন।
অন্যদিকে ‘লাইভ টিভি’র লাইসেন্স পেয়েছেন এনসিপির সদস্য আরিফুর রহমান নামে একজন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে বছর ছয়েক আগে পড়াশোনা শেষ করেন। ছাত্রজীবনে একটি ইংরেজি দৈনিকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ছিলেন।