নতুন গবেষণায় উঠে এলো মঙ্গলের চমকপ্রদ তথ্য

বহু বছর ধরেই মঙ্গলে প্রাণের খোঁজ চলছে। এ বিষয়ে নাসা (NASA) বিভিন্ন সময় গবেষণার তথ্য প্রকাশ করেছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় আবারও উঠে এসেছে নতুন চমকপ্রদ খবর, যা মহাকাশ বিজ্ঞানীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

৪৬০ কোটি বছরের ইতিহাস
প্রায় ৪৬০ কোটি বছর আগে সৌরজগতের সৃষ্টি হয়। পৃথিবী ও মঙ্গল তখন একই সময়ে জন্ম নেয়। পৃথিবীর ব্যাস ১২,৮০০ কিলোমিটার হলেও মঙ্গলের ব্যাস মাত্র ৬,৮০০ কিলোমিটার, অর্থাৎ পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক। তবে দুটি গ্রহের দিনের দৈর্ঘ্যে মিল রয়েছে। পৃথিবীতে একদিন ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড, আর মঙ্গলে ২৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট ২২ সেকেন্ড।

মঙ্গলের আকার ছোট হওয়ায় এটি দ্রুত শীতল হয়ে যায় এবং প্রায় ৩৮০ কোটি বছর আগে এর ম্যাগনেটিক ফিল্ড বিলীন হয়ে যায়। ফলে সূর্যের এনার্জি পার্টিকেল সরাসরি মঙ্গলের পাতলা বায়ুমণ্ডলে আঘাত হানে। সেখানে হালকা গ্যাস থাকলেও ভারী অক্সিজেন অনুপস্থিত। তাই পৃথিবীর মতো শ্যাওলা বা সায়ানো ব্যাকটেরিয়া অক্সিজেন তৈরি করতে পারেনি।

নাসার দাবি
নাসা জানিয়েছে, তারা কোনো জীবন্ত প্রাণী খুঁজে পায়নি। তবে মঙ্গলের মাটিতে শ্যাওলা জাতীয় জীবের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, প্রাণ না থাকলে এই ধরনের জীবাশ্মের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। যদিও বর্তমানে মঙ্গলে প্রাণ আছে কি না, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা
মহাকাশ বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পৃথিবীতে কোটি কোটি বছর ধরে সায়ানো ব্যাকটেরিয়া অক্সিজেন উৎপাদন করে চলেছে। কিন্তু মঙ্গলে তা সম্ভব হয়নি। কারণ প্রায় ৩৪০ কোটি বছর আগে মঙ্গলের সমুদ্রের সমস্ত পানি বাষ্প হয়ে মহাকাশে মিলিয়ে যায়। অনুকূল পরিবেশ না থাকায় আর ফিরে আসেনি।

সব মিলিয়ে এখনো মঙ্গলে প্রাণের সরাসরি অস্তিত্ব প্রমাণিত না হলেও, জীবাশ্ম-জাতীয় প্রমাণ বিজ্ঞানীদের আশা জাগাচ্ছে। ভবিষ্যতের গবেষণাই হয়তো মঙ্গলের রহস্য উন্মোচন করবে।