দীর্ঘতম রাত শেষে আজ বছরের ক্ষুদ্রতম দিন

আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৬ পিএম

রোববার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতটি ছিল বছরের দীর্ঘতম রাত, যার রেশ ধরে আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের মানুষ অনুভব করবে বছরের ক্ষুদ্রতম দিন। সৌরজগতের চিরন্তন নিয়ম অনুযায়ী, সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর কক্ষপথের ঘূর্ণন ও হেলে থাকার কারণেই প্রতি বছর এই সময়ের পরিবর্তন ঘটে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবী তার কক্ষপথে ঘোরার সময় একটি নির্দিষ্ট দিকে হেলে থাকে। বছরের এই সময়ে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে এবং উত্তর গোলার্ধ সূর্য থেকে অনেকটাই দূরে অবস্থান করে। ফলে উত্তর গোলার্ধে সূর্যের আলো অত্যন্ত ক্ষীণভাবে এবং অল্প সময়ের জন্য পৌঁছায়। একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘উইন্টার সলসটিস’ (Winter Solstice) বা সূর্যের দক্ষিণ অয়নান্ত।

এই দিনটিতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে। সূর্যের রশ্মি কর্কটক্রান্তি রেখায় লম্বভাবে পড়ায় এটি হয় বছরের দীর্ঘতম দিন (সামার সলসটিস)। উত্তর গোলার্ধ সূর্য থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। ২১ বা ২২ ডিসেম্বর নাগাদ এই দূরত্ব সর্বোচ্চ হয়, যার ফলে দিন ছোট এবং রাত দীর্ঘতম হয়ে দাঁড়ায়।

মজার বিষয় হলো, উত্তর গোলার্ধে যখন আজ বছরের ক্ষুদ্রতম দিন এবং হাড়কাঁপানো শীত, পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে (যেমন: অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আমেরিকা) চিত্রটি ঠিক তার উল্টো। সেখানে আজ বছরের দীর্ঘতম দিন এবং ক্ষুদ্রতম রাত। একই সময়ে এক গোলার্ধে যখন শীতকাল, অন্য গোলার্ধে তখন গ্রীষ্মকালের দাপট।

প্রকৃতির এই চক্রে আজকের পর থেকেই দৃশ্যপট পাল্টাতে শুরু করবে। আগামীকাল থেকে উত্তর গোলার্ধে দিন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকবে এবং রাত ছোট হতে শুরু করবে। মূলত মার্চ মাসে গিয়ে দিন ও রাত প্রায় সমান অবস্থানে পৌঁছাবে।

শীতের আগমনে বছরের এই ক্ষুদ্রতম দিনটি প্রকৃতির এক বিশেষ বার্তাবাহক হিসেবেই পরিচিত।

NB/FJ
আরও পড়ুন