মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন দৌড়ে একের পর এক সুখবর পাচ্ছেন তিনি। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই আলোচনা চলছে ট্রাম্পকে নিয়ে। মার্কিন সরকারে, বিরোধী শিবির, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বড় আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছেন তিনি। আমেরিকার পাশাপাশি ট্রাম্প জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলোতেও।
নিজ দলের মধ্যে প্রার্থিতার দৌড়ে শুরুতেই আইওয়া ককাসে ভেলকি দেখান ট্রাম্প। তার প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হেলি, রন ডিসান্টিস পাত্তাই পাননি। এর পর নিউ হ্যাম্পশায়ারেও দলীয় ভোটে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। দলীয় ভোটের এসব ফলাফলই জানান দিচ্ছে ট্রাম্পের প্রার্থিতা ঠেকায় কে?
প্রার্থিতার ভোটে ট্রাম্পের বিজয়ে অবশ্য আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর দল এবং বিরোধী শিবিরে। তার দলের নিকি হেলির দাবি, ট্রাম্প মনোনয়ন পেলে বাইডেন এমনিতেই জিতে যাবে। আর ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, ট্রাম্প আবার হোয়াইট হাউজে ফিরলে সব তছনছ করে দেবেন।
সিএনএন বলছে, সাবেক প্রেসিডেন্টের এ প্রত্যাবর্তন অন্য কারণে আরও চমকপ্রদ। ৯১টি ফৌজদারি অভিযোগ এবং অন্যান্য আইনি জটিলতা রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের কাছে হেরে ইউএস ক্যাপিটল ভাঙচুরে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ আছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এসব গুরুতর অভিযোগও ট্রাম্পকে দমাতে পারছে না। ডেমোক্র্যাটরা মনে করছেন, নভেম্বরের ভোটে ট্রাম্প আবার হোয়াইট হাউজে ফিরে এলে পরিস্থিতি খুব ভয়ঙ্কর হবে।
ট্রাম্পের আবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা এরই মধ্যে জ্বর উঠে গেছে ইউরোপের অনেক দেশের সরকার প্রধানের। কেননা ট্রাম্প খুবই আনপ্রেডিক্টেবল, কখন কী বলেন আগে থেকে বোঝা কঠিন। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বছরের শেষের দিকে হোয়াইট হাউজে ফিরে গেলে ইউরোপকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এক বক্তব্যে এ সতর্কবার্তা দেন তিনি।