ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ভূমধ্যসাগর থেকে রণতরী সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!

আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম

ভূমধ্যসাগর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ভার্জিনিয়া প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজা থেকে হামাসের হামলার পরই ইসরায়েলের সহায়তায় এই রণতরী ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন করেছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। ১ জানুয়ারি মার্কিন ষষ্ঠ নৌবহর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানাল যখন ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ ঘিরে লোহিত সাগরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আর ইয়েমেনের ইরানপন্থি হুতি বিদ্রোহ গোষ্ঠীর সদস্যরা ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে একের পর হামলা করে চলেছে।

রণতরী

২০১৭ সালে রণতরী ফোর্ডকে মার্কিন নৌবাহিনীর হাতে দেওয়া হয়। এটি ইউএস নৌবাহিনীর সবচেয়ে আধুনিক রণতরী। গত ৪০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত ক্যারিয়ার ক্লাসের প্রধান যুদ্ধজাহাজ এটি। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার দুদিন পর তেল আবিবকে সহায়তার জন্য ইসরায়েল উপকূলের কাছে এক লাখ টন ওজনের এই রণতরীটি মোতায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউএস সিক্সট ফ্লিট জানায়, ফোর্ড যেন যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপে অবদান রাখতে পারে সে জন্য ভূমধ্যসাগর থেকে ফোর্ড সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে এটি ভূমধ্যসাগর ছাড়লেও সেখানে মার্কিন রণতরী আইজেনহাওয়ার মোতায়েন রয়েছে। এই বিমানবাহী রণতরীর সঙ্গী হয়ে একজোড়া গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ও একটি গাইডেড মিসাইল ক্রুজার অবস্থান করছে।

গত ১ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে লোহিত সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে ইরান। ইরানের যুদ্ধজাহাজটির নাম আলবোর্জ। ইরান প্রেস টিভির তথ্য অনুযায়ী, আলবোর্জ আলভান্দ শ্রেণির একটি ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ। এটি ইরানের নৌবাহিনীর ৩৪তম নৌবহরের অংশ। ২০১৫ সাল পর্যন্ত এডেন উপসাগর, ভারত মহাসাগরের উত্তর এলাকা এবং বাব আল-মান্দাব প্রণালিতে টহল কাজ নিয়োজিত ছিল।

তবে ঠিক কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এই যুদ্ধজাহাজ লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে তা প্রকাশ করেনি বার্তা সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাহাজ চলাচল নিরাপদ, জলদস্যুতা রোধ ও অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য ২০০৯ সাল থেকে লোহিত সাগরের মুক্ত জলসীমায় কাজ করছে ইরানি যুদ্ধজাহাজ।

আলবোর্জ যুদ্ধজাহাজটি বাব আল-মান্দাব প্রণালি দিয়ে লোহিত সাগরে প্রবেশ করে। তবে সেটি কখন প্রবেশ করেছে তা জানা যায়নি। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলার প্রতিবাদ এবং হামাসের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জাহাজে হামলা করে আসছে ইয়েমেনের ইরানপন্থি হুতি বিদ্রোহ গোষ্ঠীর সদস্যরা।

NC
আরও পড়ুন