চাতাল নারী শ্রমিকরা জানেন না ‘মে দিবস’ কি?

পহেলা মে মহান আন্তর্জাতিক ‘মে দিবস’। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে মে দিবস পালন করা হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চাতালকলগুলোতে এর কোনো প্রভাব নেই। এমনকি মে দিবস কি এটাও জানে না অধিকাংশ চাতাল নারী শ্রমিকরা। তারা শুধু জানে কাজ করলে টাকা পাব, তা না হলে উপোস থাকতে হবে। জীবিকার তাগিদে বেঁচে থাকার জন্য রোদেপুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, শরীরের ঘাম ঝরিয়ে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে কাজ করলেও তারা তাদের ন্যায্য মুজরি থেকে বঞ্চিত। তারপরও নিরুপায় হয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

আশুগঞ্জে বিভিন্ন চাতালে কাজ করা শ্রমিকরা জানান, মে দিবস আবার কি? সারাদিন রোদেপুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কঠোর পরিশ্রম করে দিনশেষে যে পারিশ্রমিক পায় তা দিয়ে চাল কিনতে পারলে মাছ কিনতে পারি না। আবার অসুখবিশুখ হলে ঔষধও ঠিকমতো খেতে পারি না । যেখানে নিজের চলাই দায় সেখানে মে দিবস আবার কি? 

তারা আরো জানান, এদেশে সবকিছুর দাম বাড়লেও শুধু শ্রমিকের মজুরি বাড়ে না।

এদিকে মহান মে দিবস উপলক্ষে আশুগঞ্জের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্রমিক সমাবেশ।

আশুগঞ্জ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. হেলাল শিকদার জানান, মে দিবস উপলক্ষে আমাদের চাতালে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান বা শ্রমিকদের জন্য আলাদা কোনো কিছু করা হয় না। তবে ভবিষ্যতে করার চিন্তা রয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহত্তর হাওরঅঞ্চল কিশোরগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মণ ধান আশুগঞ্জ মোকামে আসে। আর এসব ধান স্থানীয় ৪ শতাধিক রাইস মিলে প্রক্রিয়াজাত করে চাউলে রূপান্তর করে স্থানীয় চাতাল ও ধানের মোকামের শ্রমিকরা। পরে এই চাউল ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও নৌপথে সরবরাহ করা হয়।