ম্যানইউকে হারিয়ে ইউরোপা লিগে চ্যাম্পিয়ন টটেনহ্যাম

ম্যানচেস্টর ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইউরোপার চ্যাম্পিয়ন এখন টটেনহ্যাম। ১৭ বছরের ট্রফি খরা কাটিয়ে ইউরোপা লিগ জয় করেছে আর্জেন্টাইন তারকা রোমেরোর দল। একের পর এক রোমাঞ্চ ও নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইউরোপা লিগের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই।

একের পর এক রোমাঞ্চ ও নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইউরোপা লিগের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। জনসনের দেয়া ওই এক লাকি গোলেই শিরোপা নিশ্চিত করে টটেনহ্যাম।

বুধবার (২১ মে) রাতে স্পেনের সাম মেমেসে আরেক ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ফাইনালে ১-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপা লিগের শিরোপা তুলে নেয় টটেনহ্যাম।

খেলার শুরু থেকেই বল পজিশন এবং আক্রমণে অনেকটা এগিয়ে ছিল ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্যাসিমিরোর দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে ভাগ্যের লিখন আর খন্ডাবে কে? টটেনহ্যামের সেরা ফরোয়ার্ড ব্রেনান জনসনের দেয়া লাকি গোলে এগিয়ে যায় ক্লাবটি।

ম্যাচের ৪২ মিনিটে পাপে মাতার সারের ক্রস সামলাতে গিয়ে অনেকটা দিশাহারা হয় ইউনাইটেড ডিফেন্ডাররা। চলতি মৌসুমে টটেনহ্যামের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড ব্রেনান জনসনের সুযোগ পেয়েই বল জালে পাঠাতে দেরি করেননি। ওই এক গোলেই প্রথমার্ধে বাজে রেফারির বাঁশি।

খেলার দ্বিতীয়ার্ধে নানান নাটকীয়তায় এগিয়ে গেছে ইরোপার ফাইনাল। কিন্তু তাতে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ইউনাইটেড। গোল পোস্টের সামনে যেন দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন টটেনহ্যাম গোলকিপার জিউলিয়েলমো ভিকারিও। টটেনহ্যামের রক্ষণভাগে বারবার আটকা পড়েছে ব্রুনো ফার্নান্দেসদের অনবদ্য আক্রমণভাগ।

ম্যাচের ৬৮ মিনিটে সমতায় ফেরার সেরা সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ইউনাইটেড। টটেনহ্যাম গোলকিপার ভিকারিও গোল পোস্ট ছেড়ে সামলে এলে ফাঁকা পোস্টে হেড করেন ইউনাইটেডের নাম্বার নাইন রাসমুস হয়লুন। তবে সেন্টারব্যাক মিকি ফন ডে ভেনের অনেকটা শিরোপা নিশ্চিত করা দুর্দান্ত গোল লাইন ক্লিয়ারেন্সটা ছিল নজর দেয়ার মতো। অনবদ্য একটা শট দেখলো ফুটবল দুনিয়া।

ফার্নান্দেজের ৭২তম মিনিটে এক অসাধারণ হেড আর ৭৪ মিনিটে আলেহান্দ্রো গার্নাচোর লড়াইকে ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক ভিকারিও। শেষ মুহূর্তেও একের পর এক আক্রমণে বল জালে পাঠাতে পারেনি ক্যাসিমিরোর দল। অনেক চেষ্টা করেও আর মাঠের রেসে টিকে উঠতে পারেনি ইউনাইটেড। ফলে জনসনের ওই এক লাকি গোলেই শিরোপা নিশ্চিত করে টটেনহ্যাম।