শারজাহতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটি ছিল অলিখিত ফাইনাল। কারণ প্রথম দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ ও আরব আমিরাত ছিল সমতায়। কিন্তু শেষ ম্যাচে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতল আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ আরব আমিরাত। আর লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ!
১৬৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে স্বাগতিক ব্যাটাররা কোনো চাপে না পড়েই জয় নিশ্চিত করে। বাংলাদেশের বোলারদের সামনে পুরো সিরিজেই আত্মবিশ্বাসী ছিল আমিরাতের ব্যাটিং লাইনআপ। সিরিজ শুরুর আগে এমন পরিস্থিতির কথা কল্পনাও করেননি লিটন দাস। পাকিস্তান সিরিজ স্থগিত হওয়ায় এক ম্যাচ বাড়িয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে পরিণত হয় এই সফর। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যুক্ত হওয়া এই ম্যাচটিই বাংলাদেশকে এনে দিল লজ্জাজনক পরাজয়।
পুরস্কার প্রদান মঞ্চে সিরিজ নিয়ে নিজের মূল্যায়ন দিতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘যখন এখানে এসেছি, সব সময় ম্যাচ জেতার কথাই ভেবেছি। এটা (সিরিজ হেরে যাওয়া) জীবনের অংশ। যখন আপনি ক্রিকেট খেলবেন, প্রতিপক্ষ ভালো খেলবে, তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’
নতুন অধিনায়ক হিসেবে এটি লিটনের প্রথম সিরিজ ছিল, এবং শুরুতেই এমন পরিণতি যে তিনি হতাশ, তা তার কথাতেই স্পষ্ট। দ্বিতীয় ম্যাচে ২০৫ রান করেও হেরে যাওয়া এবং তৃতীয় ম্যাচে ৮৪ রানে ৮ উইকেট হারানো-এই পারফরম্যান্স দলটির ব্যাটিং ভঙ্গুরতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। সব ম্যাচেই টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয় বাংলাদেশকে, যা হারের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন লিটন।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা ব্যাটিংয়ে কিছু ভুল করেছি। আমার মনে হয় এমন কিছু আমরা এই উইকেট, কন্ডিশনে করতে চাইনি। তিন ম্যাচেই আমরা পরে ব্যাট করেছি, শিশিরই মেইন ফ্যাক্টর ছিল।’
প্রতিপক্ষের প্রশংসা করতেও ভোলেননি লিটন, ‘তারা খুবই ভালো খেলেছে, ভালো বল করেছে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে তারা শিশিরের সুবিধা পেয়েছে। তারা তেমন আতঙ্কিত হয়নি, তাঁদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’
এই সিরিজ হারের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য এটি দ্বিতীয়বার, যখন তারা কোনো সহযোগী সদস্য দেশের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারল। আগেরটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে।
