আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে দাপট দেখানোর পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুতে ধাক্কা খেলেও, অবশেষে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে সিরিজ ট্রফি ঘরে তুলল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মিরপুরে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে স্বাগতিকরা আইরিশদের ৮ উইকেটে পরাজিত করে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নেয়।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার সাইফ হাসান ও তানজিদ তামিম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি সাইফ। ১৪ বলে ১৯ রান করে ফেরেন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি লিটন কুমার দাসও। ৬ বলে ৭ রান করে আউট হন তিনি।
তবে পারভেজ ইমনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। ৩৫ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত পারভেজ ইমনের ২৬ বলে ৩৩ রান এবং তামিমের অপরাজিত ৫৫ রানে ভর করে ৩৮ বল এবং ৮ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ে বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ দল।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল আয়ারল্যান্ড। প্রথম ৪ ওভারেই ৩৮ রান তুলে নেয় তারা। কিন্তু ১০ বলে ১৭ রান করে টিম টেক্টর আউট হলে ছন্দ হারায় আইরিশরা।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি হ্যারি টেক্টরও। ৬ বলে ৫ রান করে ফেরেন তিনি। দলীয় ১ রান যোগ না হতেই লেব বিফোরের ফাঁদে পড়েন লরকান ট্যাকার (১)। এতে ৫১ রানে ৩ উইকেট হারায় আইরিশরা।
কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে ব্যাট চালাতে থাকেন পল স্ট্রালিং। তবে আইরিশদের বিপক্ষে এদিন নিজের ভয়ংকর রূপ দেখান রিশাদ হোসেন। দশম ওভারের শেষ কার্টিস ক্যাম্ফারকে বোল্ড আউট করার পর ১২তম ওভারে এসে পল স্ট্রালিংকেও ঘরে ফেরান তিনি।
এক ছক্কা ও ৫ বাউন্ডারিতে ২৭ বলে ৩৮ রান করেছেন স্ট্রালিং। নিজের শেষ ওভারে এসে ১২ বলে ১০ রান করা গ্যারেথ ডেলানিকেও তুলে নেন রিশাদ।
এরপর মার্ক অ্যাডওয়ার (৮), ম্যাথু হামফ্রেস (১) ও ডকরেল ২৩ বলে ১৯ রান করে আউট হন। শেষ দিকে হোয়াইট ৫ রান করে আউট হলে ১১৭ রানে অলআউট হয় আইরিশরা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট শিকার করেন রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়াও শরিফুল ইসলাম দুটি, শেখ মাহেদী ও সাইফউদ্দিন নেন একটি করে উইকেট।