সৌম্য সরকার ও চোট যেন একে অপরের হাত ধরে চলেছে। জাতীয় দলে জায়গা পাকা করতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এই ওপেনার, তবে বারবার চোটই হয়ে উঠছে তার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ। বিপিএলের শুরুতে ইনজুরির কারণে বেশ কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। তবুও নির্বাচকরা তার ওপর আস্থা রেখেছিলেন এবং আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে তাকে রেখেই দল সাজানো হয়েছিল। তবে অনুশীলনের শুরুতেই আবারও চোটে পড়েছেন সৌম্য, যা তার টুর্নামেন্টে খেলার সম্ভাবনাকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দিয়েছে।
গত শনিবার থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। আজ (সোমবার) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দলের নিয়মিত অনুশীলনের সময় সৌম্য নতুন করে ইনজুরিতে পড়েন। সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং অনুশীলনের সময় পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর একটি বল সরাসরি আঘাত করে তার ডান হাতের আঙুলে। প্রচণ্ড ব্যথায় সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
বিসিবির ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম প্রাথমিক শুশ্রূষা দেওয়ার পর সৌম্যকে মাঠ থেকে বের করে ড্রেসিংরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও এই চোট গুরুতর নয় বলে জানা গেছে, তবে সৌম্যের বর্তমান ফর্ম ও তার ইনজুরির ইতিহাস বিবেচনায় এটি বাংলাদেশ দলের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে।
২০২৫ বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে মোট ১৩টি ম্যাচ খেলেছে দলটি, তবে সৌম্য সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ৪ ম্যাচে। ইনজুরি থেকে ফিরে মাঠে নেমেই ব্যাট হাতে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। লিগপর্বের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৪৮ বলে ৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন। তবে তার সেই লড়াকু ইনিংসও রংপুরকে হার থেকে বাঁচাতে পারেনি।
এলিমিনেটর ম্যাচে সৌম্য ব্যাট হাতে নামার আগেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের শিকার হন, ফলে বিপিএলের মঞ্চ থেকে ছিটকে যায় রংপুর রাইডার্স। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনি জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারবেন কি না, সেটিও এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে। সৌম্য যদি ইনজুরির কারণে ছিটকে যান, তাহলে তার বদলি হিসেবে কাকে নেওয়া হবে, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বিকল্প হিসেবে নির্বাচকরা এনামুল হক বিজয় বা লিটন দাসের কথা ভাবতে পারেন।