সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিন আজ শুরু হয়েছিল আশা জাগানিয়া দৃশ্যপট নিয়ে। ১১২ রানের লিড এবং ৬ উইকেট হাতে নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তবে দিনের সূচনা যেন টাইগারদের জন্য এক দুঃস্বপ্নই হয়ে এল। পেসারদের বুদ্ধিদীপ্ত লাইন-লেংথ আর উইকেটের গতি-বাউন্সে পুরোপুরি তাল হারিয়ে ফেলে স্বাগতিক ব্যাটাররা।
দিনের দ্বিতীয় বলেই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত যখন সাজঘরের পথ ধরেন, তখনই বোঝা যাচ্ছিল দিনের গতি কোন দিকে মোড় নিচ্ছে। আগের দিন ৬০ রানে অপরাজিত থাকা শান্ত পুল খেলতে গিয়ে এলোমেলো এক শট খেলেন, এবং নিয়াগুচির হাতে ধরা পড়েন লং লেগে।
মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে রান না আসায় তার অভাব স্পষ্ট ছিল ইনিংসজুড়ে। যেই ভরসার জায়গাগুলোতে দলের নির্ভরতা থাকা উচিত, সেখানে এবার বেশিরভাগই ব্যর্থ।
শান্তর পরে খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি মেহেদি হাসান মিরাজ। শর্ট বলকে সামলাতে গিয়ে গালিতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন, ফিরলেন মাত্র ১১ রানে। এরপর তাইজুল ইসলামও ক্যাচ দিলেন উইকেটকিপার মায়াভোর হাতে। দুটি উইকেটই ভাগাভাগি করে নেন জিম্বাবুয়ের দুই পেসার মুজারাবানি ও এনগারাভা।
মাত্র ৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে চতুর্থ দিনের শুরুতে বাংলাদেশ পড়ে যায় চরম ব্যাটিং চাপে। স্কোরবোর্ডে তখন ৭ উইকেটে ২২৩ রান, লিড ১৪১। যদিও সান্ত্বনা হিসেবে ক্রিজে আছেন জাকের আলি অনিক এবং নাসুম আহমেদ, তবে টেলএন্ডারদের উপর নির্ভর করে বড় লিড পাওয়া বেশ কঠিন।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের চেয়ে ৮২ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা লড়াই করেছিল শান্ত, মুমিনুলদের হাত ধরে। কিন্তু চতুর্থ দিনের সকালের ধস আবারও দলের ব্যাটিং দুর্বলতাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।