দুই সপ্তাহের ছুটি শেষে আবারো মাঠের পথে ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। কেউ সময় কাটিয়েছেন বিদেশে, কেউবা নিজের শহরে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে। তবে এই অবকাশের মেয়াদ এখন শেষ। সামনে এশিয়া কাপ। তাই শুরু হয়েছে প্রস্তুতির ব্যস্ততা।
লিটন দাস ছুটির সময় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুরে এসেছেন মালয়েশিয়া থেকে। শেখ মেহেদী হাসান গেছেন নিজ শহর খুলনায় আর মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন সাতক্ষীরায়। ব্যক্তিগত কারণে আলোচনায় থাকা তাসকিন আহমেদ গেছেন সৌদি আরবে, করেছেন ওমরাহ হজ। ক্রিকেটারদের বিশ্রামের এই পর্ব এখন রূপ নিচ্ছে ঘামঝরানো অনুশীলনে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে ফিটনেস ক্যাম্প। যদিও কেউ কেউ এর আগেই ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন শুরু করেছিলেন, এবার পুরো দলই প্রস্তুতির আওতায় এসেছে। বিসিবি ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে ২৫ জনের একটি প্রাথমিক দল। এদের মধ্যে ছয়জন আবার বাংলাদেশ ‘এ’ দলে থাকায় তাঁরা থাকছেন না মূল দলের অনুশীলনে। নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে ওই দলটি যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়, ৭ আগস্ট।
ফিটনেস ক্যাম্পে ১০ আগস্ট বড় একটি ধাপ আসছে। ওই দিন ট্রেনার নাথান কেলির তত্ত্বাবধানে জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে ক্রিকেটাররা অংশ নেবেন রানিং সেশনে। কোচ ফিল সিমন্স ১২ আগস্ট ঢাকায় ফিরে দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন, আর ১৫ আগস্ট শুরু হবে স্কিল ট্রেনিং। প্রথম ধাপে ঢাকায় পাঁচ দিন হবে স্কিল ট্রেনিং, এরপর দল যাবে সিলেটে।
সিলেটে ৩০ আগস্ট, ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। এই সিরিজকে ধরা হচ্ছে এশিয়া কাপের আগে চূড়ান্ত প্রস্তুতির অংশ হিসেবে। মিরপুরের উইকেট অনুশীলনের জন্য উপযুক্ত নয় বলেই সিলেটকে বেছে নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
এশিয়া কাপের গ্রুপপর্ব অনুষ্ঠিত হবে আবুধাবিতে। শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ খেলেছে মাত্র দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, ২০২১ বিশ্বকাপে—দুই ম্যাচেই হেরেছে বড় ব্যবধানে। এবারও সহজ নয় পথ। একই গ্রুপে রয়েছে হংকং, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হংকংয়ের বিপক্ষে। টুর্নামেন্ট শুরু হবে ৯ সেপ্টেম্বর।