বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের বিতর্ক যেন থামছেই না। নির্বাচন শুরুর কয়েকদিন আগে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন, যার মধ্যে ছিলেন তামিম ইকবাল। পরবর্তীতে আরও কয়েকজন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। মোট ২১ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের বাইরে থাকেন।
তিন নম্বর ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নেন দেবব্রত পাল। যদিও তিনি বিজয়ী হতে পারেননি এবং ৩৫ ভোট পেয়ে পাইলট নির্বাচিত হন। হারের পর দেবব্রত কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কট করেন।
গণমাধ্যমকে দেবব্রত বলেন, ‘আমি সবসময় বলেছি আমি শেষ পর্যন্ত থাকব। সকল প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে আমি জানতাম। তাও আমি চেয়েছি শেষ পর্যন্ত থাকি। ক্রিকেট বোর্ডের আসল চেহারাগুলো সবাই দেখুক। আজকে সারা জাতি দেখেছে, ক্রিকেট বোর্ডে কি হয়েছে। কোনো খারাপ জিনিস গ্রহণ করার উপায় ছিল না, তাই বর্জনই করতে হয়েছে।’
তামিম ইকবাল নিজের ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন যে তিনি ভোট দেননি, ‘অনেক গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে আমি ভোট দিয়েছি। এটা মোটেও সত্য নয়। আমি ই-ভোটের আবেদন করেছিলাম কারণ দেশের বাইরে ছিলাম, কিন্তু ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের কাউন্সিলর হিসেবে আমি নির্বাচনে অংশ নেইনি বা ভোট দেইনি।’ ১ অক্টোবর নাম প্রত্যাহার করেন তামিম।
আজ ভোট গ্রহণ শেষে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে পরিচালনা পর্ষদের ২৫ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। পুনরায় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন দুই সহসভাপতি-ফারুক আহমেদ ও শাখাওয়াত হোসেন।