টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করার উচ্ছ্বাস মিলিয়ে যায়নি, কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তার আগেই আজ নতুন পরীক্ষার মুখোমুখি। আবুধাবির জায়েদ স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম লড়াই।
এই ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস এবং নাগরিক টিভি।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত আত্মবিশ্বাসে ভর করে খেলেছিল বাংলাদেশ। তিনটি ম্যাচেই রান তাড়া করে জয় পাওয়া টাইগাররা আফগানিস্তানকে বাংলাওয়াশ করে। প্রথম ম্যাচে জিতেছিল ৪ উইকেটে, দ্বিতীয়টিতে ২ উইকেটে এবং শেষ ম্যাচে ৬ উইকেটে। এই জয়ের ধারায় বাংলাদেশ অর্জন করেছে টানা চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব-আফগানিস্তানের আগে শ্রীলংকা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসকেও হারিয়েছিল টাইগাররা।
তবে এবার চ্যালেঞ্জটি ভিন্ন। ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের রয়েছে ১৯ ম্যাচের অভিজ্ঞতা-এর মধ্যে ১১টিতে জিতেছে বাংলাদেশ, হার ৮টিতে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে সিরিজে আফগানরা ২-১ ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৩-০ ব্যবধানে জিতলেও শ্রীলঙ্কা সফরে ২-১ ব্যবধানে হেরে আসে।
আবুধাবির এই সিরিজে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার সঙ্গে রয়েছেন তরুণ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মিশ্রণ-তানজিদ হাসান, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি, শামীম হেসেন, নুরুল হাসান, রিশাদ হোসেন, তানভির ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা।
আফগানিস্তানও নামিয়েছে এক শক্তিশালী স্কোয়াড। অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদীর নেতৃত্বে দলে রয়েছেন সহ-অধিনায়ক রহমত শাহ, উইকেটরক্ষক রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইকরাম আলিখিল, সঙ্গে তারকা ক্রিকেটার রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী ও ইব্রাহিম জাদরান।
বাংলাদেশের জন্য এই সিরিজের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো ইনজুরি ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি। কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার পুরোপুরি ফিট নন, তবুও জয়ী মানসিকতাই সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে উঠতে পারে টাইগারদের।